বিজেপি সমর্থক হওয়ায় খোদ কলকাতার বুকেই আক্রান্ত চিকিত্সক পরিবার
বিজেপির সমর্থক হওয়ার অপরাধে খোদ কলকাতার বুকেই আক্রান্ত হলেন এক চিকিত্সক পরিবার। অভিযোগ তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা চিকিত্সক ও তার পরিবারকে মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।
বিজেপির সমর্থক হওয়ার অপরাধে খোদ কলকাতার বুকেই আক্রান্ত হলেন এক চিকিত্সক পরিবার। অভিযোগ তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা চিকিত্সক ও তার পরিবারকে মারধর করার পাশাপাশি বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। অভিযুক্তরা পুলিসের সামনেই এলাকায় ঘুরে বেড়ালেও এখনও গ্রেফতার করতে ব্যর্থ পুলিস। আক্রান্ত পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে না পেরে রাতভর থানাতেই রাখল পুলিস। ফের হামলার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে চিকিত্সক পরিবার।
মঙ্গলবার তপন শিকদারের শেষ কৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন পূর্ব পঞ্চান্ন গ্রামের বাসিন্দা অরবিন্দ কুমার মণ্ডল। অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা এরপর থেকেই তাকে হুমকি দিতে শুরু করে। বুধবার রাতে অরবিন্দ মণ্ডল যখন বাড়ি ফিরছিলেন তখন তার উপর হামলা চালায় তৃণমূলের লোকজন। প্রায় অচেতন অবস্থায় কোনওমতে পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। বাইপাসের ধারে পূর্ব পঞ্চান্ন গ্রামে তার জামাইবাবু পেশায় চিকিত্সক অপূর্ব কুমার রায়ের বাড়িতেই থাকেন অরবিন্দ কুমার মণ্ডল।
অরিবন্দ মণ্ডলকে ধাওয়া করে বাড়ি পর্যন্ত আসে হামলাকারীরা। তখন অপূর্ব রায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে মারধর করা হয় তাকেও। রেহাই পাননি অপূর্ব রায়ের ছেলে, স্ত্রী ও মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়েও।
ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় গোটা বাড়িতেই। আনন্দপুর থানায় অপূর্ব রায় জানালে পুলিস গোটা পরিবারকে উদ্ধার করে। রাতভর থানাতেই কাটান আক্রান্ত রায় পরিবারের সদস্যরা। অভিযোগ পুলিসের সামনেই অভিযুক্ত হামলাকারীরা ঘুরে বেড়ালেও বৃহস্পতিবার সন্ধে পর্যন্ত পুলিস কাউকে গ্রেফতার করেনি। তদন্তে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্ত পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। অভিযোগ মহিলারা আক্রান্ত হলেও, শ্লীলতাহানির কোনও অভিযোগই আনা হয়নি এফআইআরে।