কলকাতায় অনার কিলিং, বোনের মাথা কেটে আত্মসমর্পণ দাদার
পরিবারের সম্মান বাঁচাতে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল কলকাতা। প্রথম `অনার কিলিং` এর ঘটনা ঘটল এরাজ্যে, খোদ কলকাতার বুকে। বন্দর এলাকার নাদিয়াল থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে আসা অত্যাচারিত বোনের মাথা কেটে খুন করল দাদা। পরে সেই কাটা মাথা নিয়েই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে খুনি মেহতাব আলম।
পরিবারের সম্মান বাঁচাতে মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল কলকাতা। প্রথম 'অনার কিলিং' এর ঘটনা ঘটল এরাজ্যে, খোদ কলকাতার বুকে। বন্দরের কাছে নাদিয়াল থানা এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে আসা অত্যাচারিত বোনের মাথা কেটে খুন করল দাদা। পরে সেই কাটা মাথা নিয়েই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে খুনি মেহতাব আলম।
প্রায় আট বছর আগে আকবরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল নীলোফারের। তাঁদের দুটি সন্তানও রয়েছে। কিন্তু শ্বশুরবাড়িতে প্রতিদিনই নীলোফার অত্যাচারিত হত বলে অভিযোগ। গত ২৯ নভেম্বর, বৃহস্পতিবার, হঠাত শ্বশুরবাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায় নীলোফার। পরদিন তাঁর বাবা থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ জানান। এতদূর পর্যন্ত কোনও সম্মানহানির ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু নীলোফারের দাদা মেহতাব আলম জানতে পারেন, নীলোফার শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক ফিরোজের কাছে গিয়ে উঠেছে। মেহতাব খোঁজ নিতে শুরু করে। জানতে পারে নীলোফারকে নিয়ে ফিরোজ তাঁর দাদার বাড়িতে লুকিয়ে রয়েছে। শুক্রবার সকালে মেহতাব আলম একটি তরোয়াল নিয়ে সেই বাড়িতে চড়াও হয়। ফিরোজের বৌদি সাবু বাধা দিতে গেলে প্রথমে মেহতাব তাঁকে কোপ মারে। সাবুর হাত কেটে প্রায় ঝুলে পড়ে। তারপরেই বোন নীলোফারকে টেনে-হিঁচড়ে বার করে মেহতাব আলম। প্রকাশ্যে তরোয়ালের এক কোপে ধড় আর মাথা আলাদা করে দেয়। তারপর সেই কাটা মাথা নিয়ে তরোয়ালসহ নাদিয়াল থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে। পুলিস মেহতাব আলমকে গ্রেফতার করেছে।
প্রত্যন্ত গ্রাম নয়, খাস কলকাতায় এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় স্তম্ভিত পুলিস-প্রশাসন সহ নাগরিক সমাজ।