'ভালো আছি,' হাসপাতালে চোখ মেলেই বললেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
আপাতত অবস্থা স্থিতিশীল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, বেডে চোখ মেলেছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, 'ভালো আছি।' মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাসপাতাল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় বলেন, ''উনি উঠে বসেছেন বলে শুনলাম।''
শুক্রবার সন্ধেয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁর শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। বুদ্ধবাবুকে রাখা হয়েছে আইসিসিউ-এর ৫১৬ নম্বর বেডে। সেখানেই পরিজনদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,''ভালো আছি।'' হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ৫ জনের চিকিত্সকদের দল দেখছে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। এখন অবস্থা আগের ভালো। তাঁকে রক্ত দিতে হবে। শরীরে হিমোগ্লোবিন কম গিয়েছে। এখন একটু স্থিতিশীল।
বুদ্ধবাবু ভর্তি হওয়ার পর আধ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন চিকিত্সকদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সবরকম ব্যবস্থা করুন। কোনও কিছুর যেন অভাব না থাকে। ঘণ্টাখানেক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মমতা জানিয়ে দেন, যখন নিয়ে আসা হয়েছিল, তার থেকে অনেকটা বেটার আছেন। ওনার হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল। তাই রক্ত দিতে হবে। আপাতত স্থিতিশীল রয়েছেন। অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন। উনি উঠে বসেছেন বলে শুনলাম। হাসপাতালে ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব ও মহম্মদ সেলিম। সেলিম বাইরে বেরিয়ে আশ্বস্ত করেন, দুশ্চিন্তার কারণ নেই। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। এখন ভালোই আছেন।
আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, সন্ধে ৭.৩২ মিনিট নাগাদ তাদের কাছে ফোন আসে। ফোনে বলা হয়, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর রক্তচাপ কমে গিয়েছে। শ্বাসকষ্ট হচ্ছে তাঁর। হারিয়ে ফেলেছেন সংজ্ঞা। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালের আইসিসিইউ তৈরি রাখা হয়। একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হাসপাতালেই ছিলেন। ডেকে পাঠানো হয় আরও একজনকে। জানা গিয়েছিল, বুদ্ধবাবুর শরীরে কমে গিয়েছে অক্সিজেনের পরিমাণ।
বুদ্ধবাবু ভর্তি হওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই আলিপুরের বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন চিকিত্সকদের সঙ্গে। মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার ৮ মিনিট পর হাসপাতালে পৌঁছন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও রবীন দেব।
আরও পড়ুন- আমেরিকা, ইজরায়েলকে ম্যানেজ করলেও বাংলাকে পারবেন না, মোদীকে চ্যালেঞ্জ মমতার