Bhowanipore Murder: যুবকের সঙ্গে 'ঘনিষ্ঠতা'! আপত্তিকর ছবি ভাইরালের হুমকি! ভবানীপুরে গেস্টহাউজে ব্যবসায়ী খুনে রহস্য
ফোনে নিহত ব্যবসায়ীর সঙ্গে একজনের মেসেজের হদিশ পান গোয়েন্দারা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : টেলিফোনের তার পেঁচিয়েই খুন করা হয়েছে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে (Buisenessman murder)। ভবানীপুরে গেস্ট হাউজে (Bhowanipore Guest House) স্বর্ণব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় ময়নাতদন্তে মিলল প্রমাণ। এছাড়া আর কোনও আঘাত নেই শরীরে। মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছিল রাত সোয়া ১০টা নাগাদ। কিন্তু পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, মৃত্যু হয়েছে তার আগেই। মুক্তিপণ নেওয়ার আগেই কেন খুন (Bhowanipore Murder)? সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। পাশাপাশি হোটেলে যে রুমে ব্যবসায়ী গিয়েছিলেন, সেখানে আগে থেকেই দিল্লির এক যুবক (Delhi Boy) ছিল। মুক্তিপণ নেওয়ার পর সেই যুবকও আর গেস্টহাইজে ফেরেনি। এর থেকেই প্রাথমিকভাবে পুলিস নিশ্চিত যে, আততায়ী নিহতের পরিচিত। কিন্তু এটা নিশ্চিত হলেও খুনের মোটিভ নিয়ে ধন্দে পুলিস।
মিসিং লিঙ্ক মোবাইল ফোন
রাত সোয়া ১০টা নাগাদ অপহরণকারীর নির্দেশমতো একটি হলুদ ট্যাক্সিতে ২৫ লক্ষের বেশি টাকা দিয়েছিল পরিবারের সদস্য। টাকা নেওয়ার পরই ব্যবসায়ীর ফোন ছুঁড়ে পালায় ট্যাক্সিটি। সেই ফোনে নিহত ব্যবসায়ীর সঙ্গে একজনের মেসেজের হদিশ পান গোয়েন্দারা। যে গেস্টহাউজ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়, সেখান থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন যে, এলগিন রোডের ওই গেস্টহাইজে ২০ নম্বর রুমে গিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। ২০ নম্বর রুমে আগে থেকেই ছিলেন দিল্লির এক যুবক। গেস্টহাউজে যুবকের 'কাকা' পরিচয় দিয়ে ঢুকেছিলেন ব্যবসায়ী। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, যুবক ও ব্যবসায়ী পরস্পর পরস্পরকে চিনতেন। যুবকের সঙ্গে ভালোরকম 'ঘনিষ্ঠতা' ছিল ব্যবসায়ীর।
ফোনের সূত্র ধরেই মাঝরাতে গেস্টহাউজ থেকে গলায় টেলিফোনের তার পেঁচানো অবস্থায় উদ্ধার হয় স্বর্ণ ব্যবসায়ী এস এল বৈদ্যের দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাজারের দোকান থেকে ছেলের সঙ্গে গাড়ি করে বাড়ি ফেরেন ব্যবসায়ী। প্রতিদিনের মতো সন্ধে ৬টা ৪০ নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পানের দোকানে যান। এরপরই সাড়ে ৭টা নাগাদ ল্যান্ডফোনে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন আসে। মুক্তিপণ না দিলে 'আপত্তিকর ছবি' ভাইরাল করার হুমকি দেওয়া হয়। গুলি করে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়। শেষে অপহরণকারীদের দেওয়া ঠিকানায় রাত সোয়া ১০টা নাগাদ পৌঁছানো হয় মুক্তিপণ। কিন্তু মুক্তিপণ দেওয়ার পরেও ফেরেননি এস এল বৈদ্য। এরপরই মুক্তিপণ দেওয়ার কথা পুলিসকে জানায় পরিবার। তারপর ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে রাত দেড়টা নাগাদ হোটেলে পৌঁছয় পুলিস। উদ্ধার হয় ব্যবসায়ীর নিথর দেহ।
আরও পড়ুন, Deganga: দেগঙ্গায় গোমূত্র ও গোবরে মিলল 'সোনা'! তুমুল হইচই এলাকায়
Sarsuna Murder: পড়শি বৌদির সঙ্গে দীর্ঘদিনের 'ঘনিষ্ঠতা', চরম খেশারত দিতে হল যুবককে