দূরপাল্লার আকাশছোঁয়া ভাড়বৃদ্ধিতে নাজেহাল যাত্রীরা
নতুন বাস ভাড়া নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল রাজ্য সরকার। যাত্রী অসন্তোষে শহরতলির বাসের ভাড়ার কিছুটা পুনর্বিন্যাস করা হলেও দুরপাল্লার বাসগুলির ক্ষেত্রে কিন্তু ভাড়া রীতিমতো আকাশছোঁয়া। গড়ে বাস ভাড়া বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। পরিবহন সূত্রে খবর, যাত্রী অসন্তোষে এবার দুরপাল্লার বাসের ভাড়াও পুনর্বিন্যাস করতে চলেছে সরকার।
নতুন বাস ভাড়া নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল রাজ্য সরকার। যাত্রী অসন্তোষে শহরতলির বাসের ভাড়ার কিছুটা পুনর্বিন্যাস করা হলেও দুরপাল্লার বাসগুলির ক্ষেত্রে কিন্তু ভাড়া রীতিমতো আকাশছোঁয়া। গড়ে বাস ভাড়া বেড়েছে ৪০ শতাংশেরও বেশি। পরিবহন সূত্রে খবর, যাত্রী অসন্তোষে এবার দুরপাল্লার বাসের ভাড়াও পুনর্বিন্যাস করতে চলেছে সরকার।
মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন কোনওভাবেই বাড়াবেন না বাসের ভাড়া। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেননি তিনি। তেলের দাম বাড়ার পরে বাড়ানো হয় বাসের ভাড়া। কিন্তু সরকারি নির্দেশে একদফা ভাড়া বাড়ানোর পর ফের যাত্রী অসন্তোষে পড়ে ভাড়ার পুনর্বিন্যাস করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য সরকার।
শিলিগুড়ি আগে ছিল ২৪০ টাকা- এখন ৩৬০ টাকা
বালুরঘাট আগে ছিল ১৮৫ টাকা- ২৭৫ টাকা
মালদহ আগে ছিল ১৪৬ টাকা- ২০৫ টাকা
বহরমপুর আগে ছিল ৯২ টাকা- এখন ১২৫ টাকা
দুর্গাপুর আগে ছিল ৭৫ টাকা- এখন ১১৫ টাকা
আসানসোল আগে ছিল ৯৫ টাকা- এখন ১৪০ টাকা
শিউড়ি আগে ছিল ৯২ টাকা- এখন ১৮০ টাকা
দীঘা আগে ছিল ৮৩ টাকা- এখন ১১৩ টাকা
পুরুলিয়া আগে ছিল ১৩০ টাকা- এখন ২০০ টাকা
বাঁকুড়া আগে ছিল ১০০ টাকা- এখন ১৪০ টাকা
এসবই শুধুমাত্র সরকারি বাসের তালিকা। বেসরকারি বাসগুলো ভাড়া বাড়িয়েছে একেবারে তাদের মর্জিমাফিক। দৈনন্দিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করেন এই সরকারি দুরপাল্লার বাসগুলিতে। ফলে প্রতিদিন দুর্বিসহ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন তারা। সরকারি নোটিফিকেশনে বলা হয়েছিল দুরপাল্লা রুটের কিলোমিটার প্রতি দশ পয়সা করে ভাড়া বাড়ানো হবে। কিন্তু আদপেও সেভাবে বাড়েনি ভাড়া। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ির দুরত্ব প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। কিন্তু ভাড়া বেড়েছে প্রায় ১২০ টাকা। ফলে ফের ভাড়া বাধ্য হচ্ছে সরকার।