পুজোর পর ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা, মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অবশেষে উঠে গেল বাস ধর্মঘট

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অবশেষে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার হল। পুজোর পর ভাড়া নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মহাকরণে বাস মালিক সংগঠনগুলিকে একথা জানান পরিবহণমন্ত্রী। এরপরই বিকেল থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন বাস মালিক সংগঠনের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর  নির্দেশে  ধর্মঘট রুখতে পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও।  পুজোর পর ভাড়া নিয়ে আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন বাস সংগঠনের নেতারা।

Updated By: Sep 19, 2013, 08:42 AM IST

মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে অবশেষে বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার হল। পুজোর পর ভাড়া নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ মহাকরণে বাস মালিক সংগঠনগুলিকে একথা জানান পরিবহণমন্ত্রী। এরপরই বিকেল থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন বাস মালিক সংগঠনের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রীর  নির্দেশে  ধর্মঘট রুখতে পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারাও।  পুজোর পর ভাড়া নিয়ে আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে অবশেষে ধর্মঘট প্রত্যাহার করলেন বাস সংগঠনের নেতারা।
 
কোনও রকম চাপের মুখে পড়ে তাঁরা যে ধর্মঘট প্রত্যাহার করছেন না তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে বাস সংগঠনগুলি।
 
পরিবহণমন্ত্রীর সঙ্গে মহাকরণে বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেন বাস মালিক সংগঠনের নেতারা। কিন্তু তার আগে সোমবার দিনভর ধর্মঘট রুখতে রাস্তায় নেমেছিলেন তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা মন্ত্রীরা। ধর্মতলায় ছিলেন পরিবহণমন্ত্রী নিজে। ধর্মঘট ঠেকাতে পুলিসকে উপযুক্ত ব্যবস্থার নির্দেশের পাশাপাশি কথা বলেন বাসচালক এবং যাত্রীদের সঙ্গেও।
 

ধর্মঘট উঠল বিকেলে। কিন্তু এ দিন পথে বেরিয়ে নাকাল হলেন যাত্রীরা।  উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার থেকে দক্ষিণের গড়িয়াহাট। কিংবা কলকাতা সংলগ্ন হাওড়া।  সর্বত্রই কম বেশি একই ছবি। বাস না পেয়ে  নাকাল হলেন যাত্রীরা।  পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাস সত্ত্বেও সরকারি বাসের সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল না। পরিবহণমন্ত্রীর অবশ্য দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে।
 
বৃহস্পতিবার সকাল।  রাস্তায় বেরিয়ে ভোগান্তি চরমে উঠল নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকারি বাসের সংখ্যাও ছিল বেশ কম। যদিও পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্রের দাবি, প্রয়োজনের তুলনায় বেশি সংখ্যায় সরকারি বাস রাস্তায় নেমেছে । সময় মত নির্দিষ্ট গন্তব্যে না পৌঁছতে পেরে যখন হাপিত্যেশ করছেন নিত্যযাত্রীরা তখন পথে বেরিয়ে পরিবহণমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি বেলা বারোটার মধ্যে যারা বাস নামাবেন না তাঁদের লাইসেন্স সিজ করা হবে।
 
যদিও পরিবহণমন্ত্রীর হুমকির পরও বদলায়নি যাত্রী ভোগান্তির ছবিটা। ভাড়া বাড়লে ক্ষতি নেই, কিন্তু পরিষেবা মেলা চাই। এমনটাই জানিয়েছেন যাত্রীদের একাংশ। বাস ধর্মঘটের পিছনেও সিপিআইএমের চক্রান্ত  রয়েছে বলে দাবি করেছেন পরিবহণমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর দাবি ধর্মঘট ব্যর্থ হয়েছে। পরিবহণমন্ত্রীর আশ্বাস, হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও  ভোগান্তির ছবিটা কিন্তু অস্বস্তিতে রাখল সরকারকে।
 

.