ByPoll: যদুবাবুর বাজারে ধুন্ধুমার, ভবানীপুরে ভোট স্থগিতের দাবি দিলীপ ঘোষের

পুলিসি নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, গন্ডগোল হবে আশঙ্কা করেই কলকাতা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারাও কিছু করেনি

Updated By: Sep 27, 2021, 05:51 PM IST
ByPoll: যদুবাবুর বাজারে ধুন্ধুমার, ভবানীপুরে ভোট স্থগিতের দাবি দিলীপ ঘোষের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভবানীপুর উপ নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে ধুন্ধুমার যদুবাবুর বাজার। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেয়ালের প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল সমর্থকরা। ধাক্কাধাক্কিতে মাথা ফাটল এক বিজেপি কর্মীর। তাঁকে বের করে নিয়ে যান নিরাপত্তা কর্মীরা। ভবানীপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভোটের অনুকুল নয়। তাই সেখানে ভোট স্থগিতের দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ।

আরও পড়ুন-Ayushman Bharat Digital Mission: সবার জন্য হেলথ আইডি, ঘোষণা প্রধানমন্ত্রী Modi-র

যদুবাবুর বাজারে বিক্ষোভের ঘটনা নিয়ে সোমবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভবনীপুরে বিজেপি নেতা অর্জুন সিং প্রচারে গেলে ভবানীপুরের শীতলা মন্দির ও গুরুদ্বারের সামনে অর্জুন সিংকে ঘিরে ধরে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় ও বিক্ষোভ দেখানো হয়। তিনি ওখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন। নির্বাচন ঘোষণার পর প্রচার শুরু হতেই এটা হচ্ছে। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। কালীঘাটে আমাদের বাধা দেওয়া হয়েছে।

পুলিসি নিষ্কৃয়তার অভিযোগ তুলে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি বলেন, গন্ডগোল হবে আশঙ্কা করেই কলকাতা পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু তারাও কিছু করেনি। একজন এসবির অফিসার প্রতিবাদ করেছিলেন। তাকেও প্রবল মারধর করা হয়েছে। আমাদের পরিকল্পনা ছিল ৮০টি জায়গায় প্রচার করব। বহু জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে। হয়তো তৃণমূল বুঝতে পারছে ওরা হেরে যাবে।  তার জন্য এটা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন-By-Poll: জিতলে চেয়ারটা Priyanka-কে ছেড়ে দেব! প্রচারে শেষলগ্নে বড় ঘোষণা Suvendu-র   

ভবানীপুরের আইন শৃঙ্খলার প্রশ্ন তুলে দিলীপবাবুর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে লড়াই করছেন সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যদি এই অবস্থা হয় তাহলে কী হবে! নির্বাচন কমিশন সব জানে। বারবার অভিযোগ করা হয়েছে। এনিয়ে দিল্লি ও কলকাতায় এনিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তার পরেও নিরাপত্তা নেই। এখন নির্বাচনের প্রচারই যদি না হতে পারে, ভোটারদের কাছে যদি পৌঁছাতেই না পারি তাহলে সেই নির্বাচনের কী মানে হয়! আজ ভোট প্রচারের শেষ দিন ছিল। গুন্ডা দিয়ে প্রচার বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিজেপিকে আটাকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। এর ফলে গোটা ভবানীপুরের মানুষ ভয়ের মধ্য রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরিয়ে কীভাবে ভোট দেবে? তারা তো নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতেই পারবে না। ভয়ের বাতাবরণ তৈরি করে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। যে পরিস্থিতির মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য ভোট করা হচ্ছে তাতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্ভব নয়। আমার মনে হয়, এই নির্বাচন স্থগিত করা দরকার। যখন সাধারণ মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে তখনই ভোট করা উচিত। দলের প্রার্থীই যদি প্রচার করতে না পারে তাহলে অবাধ ভোট সম্ভব নয় । তাই দাবি করছি, এই নির্বাচন বন্ধ হোক।

Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.