ভর্তির ফর্মে রূপান্তরকামীদের স্বীকৃতি দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্মে রূপান্তরকামীদের জন্য এতদিন পৃথক কোনও কলামই ছিল না। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন : আলিয়ার লড়াইয়ে হার মানল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। ভর্তির ফর্মে এবার থেকে মহিলা -পুরুষের পাশাপাশি, ট্রান্সজেনডারদের জন্যও থাকছে বিশেষ কলাম। এমনটাই আদালতে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। রূপান্তরকামী আলিয়ার লড়াই অবশ্য এখানেই শেষ নয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক সংরক্ষণের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। তার শুনানি শুক্রবার।
সমানাধিকারের লড়াই। লড়াই অস্তিত্ব পৃথক প্রমাণের। সমাজের বেঁধে দেওয়া ছেলে বা মেয়ে পরিচয়ে নয়, রূপান্তকামী হিসাবেই পড়াশোনার অধিকার আদায়ের। আদালতে গিয়ে সেটাই করে দেখালেন আলিয়া শেখ। তাঁর লড়াইয়ের হার মানল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ও।
আলিয়া শেখ। ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে এম ফিল করতে চান। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফর্মও তোলেন। কিন্ত, তা পূরণ করে জমা দিতে পারছিলেন না আলিয়া। কারণ, প্রথাগত ছেলে বা মেয়ে কোনওটাই তিনি নন। তিনি রূপান্তরকামী। কিন্তু, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্মে রূপান্তরকামীদের জন্য এতদিন পৃথক কোনও কলামই ছিল না। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আলিয়া।
প্রসঙ্গত, আগেও অনেক রূপান্তকামী এনিয়ে আদালতে মামলা করেন। কিন্তু, খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল তাঁদের। আলিয়ার কথা শুনেছে আদালত। বুধবারই ছিল ফর্ম জমা করার শেষ দিন। রূপান্তরকামী হিসাবেই ফর্ম ফিল আপ করতে পেরে খুশি আলিয়া। কিন্তু, লড়াই এখনও শেষ নয়।
আরও পড়ুন, মমতাকে বিঁধে টুইট ধনখড়ের, কড়া ভাষায় পাল্টা জবাব ৩ মন্ত্রীর, চরমে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, রূপান্তরকামীদের OBC ক্যাটেগরি ভুক্ত করে সংরক্ষণ দিতে হবে। এরাজ্যে এখনও তা চালু করেনি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়। আলিয়া চান, আগামী দিনে যাতে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মান্য করে রূপান্তরকামীদের জন্য পৃথক সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে সামাজিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইটা একটু হলেও সহজ হয়।