কলকাতায় কলসেন্টার খুলে চলছিল বিদেশিদের প্রতারণা, পাকড়াও ৪
কলসেন্টার খুলে বিদেশিদের ভয় দেখিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কল সেন্টারের আড়ালে চলছে প্রতারণার রমরমা কারবার। অ্যান্টি ভাইরাস বিক্রির নামে বিদেশিদের ঠকিয়ে কোটি কোটি টাকার প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস হল ট্যাংরায়। আনওয়ারুল হক, সাহিল কুরেশি, আমিকরুল হক এবং জানেশার আখতার আলম নামে চার অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিস।
ট্যাংরা ক্যানাল সাউথ রোডের ধারে বিশালবহুল বহুতল। তিন ও চারতলায় ঝাঁ চক চকে কল সেন্টার। কে ভেবেছিল, কল সেন্টারের আড়ালেই চলছে জালিয়াতির রমরমা কারবার। রীতিমত ছক কষে বিদেশি গ্রাহকদের ঠকানোর কারবার ফেঁদে বসেছিল প্রতারকরা।
কল সেন্টার থেকে ভয়েস কলে বিদেশিদের ফোন করে ফাঁদ পাতা হত। অ্যান্টি ভাইরাস না নিলে তাঁদের সিস্টেম বন্ধ হয়ে যাবে বলে ভয় দেখাত প্রতারকরা। ভয় পেয়ে অনেকেই নির্দিষ্ট বিদেশি ব্যাঙ্ক আকাউন্টে টাকা জমা দিতেন।
প্রায় ৩০জন কল সেন্টারে কাজ করত। বিদেশিদের ফাঁদে ফেলতে ইংরেজিতে চোস্ত তরুণ-তরুণীদের নিয়োগ করা হয়েছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে কলকাতা পুলিসের সাইবার সেল ও প্রগতি ময়দান থানার পুলিস। ধরা পড়ে আনওয়ারুল হক, সাহিল কুরেশি, আমিকরুল হক এবং জানেশার আখতার আলম। কল সেন্টার থেকে হার্ড ডিস্ক, মোবাইল, পেন ড্রাইভ সহ বহু জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দীপাবলিতে উপদেশ দিয়ে নিজের বিয়েতে বাজি ফাটিয়ে বিতর্কে প্রিয়াঙ্কা