নাম উঠেছিল তদন্তের শুরুতেই, ৬ মাস ধরে মুকুলের বিরুদ্ধে কী তথ্য জোগাড় করল সিবিআই?

Updated By: Jan 13, 2015, 11:59 AM IST
নাম উঠেছিল তদন্তের শুরুতেই, ৬ মাস ধরে মুকুলের বিরুদ্ধে কী তথ্য জোগাড় করল সিবিআই?

তদন্তের শুরুতেই তাঁর নাম উঠে এসেছিল। তবে মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে প্রমাণ হাতে পেতে একটু একটু করে জাল গোটাচ্ছিলেন সিবিআইএয়ের গোয়েন্দারা। সেইসব প্রমাণই এই কদিনে সাজিয়ে নিয়েছেন তদন্তকারীরা। যার জেরে রজত, সৃঞ্জয়, মদনের পর এবারে মুকুল রায়ের সিবিআই-পালা।

সারদা কেলেঙ্কারির আসল মাথা মুকুল রায়। সিবিআই হেফাজতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ। ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে নেমে একের পর এক তথ্য হাতে উঠে এসেছে সিবিআইয়ের। গা ঢাকা দেওয়ার আগে সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মুকুল রায়ের গোপন বৈঠকের কথা উঠে এসেছিল ধৃত কুনাল ঘোষের একানব্বই পাতার চিঠিতে। শুরুতে নিজাম প্যালেসে সেই বৈঠকের কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন সুদীপ্ত সেন। কিন্তু মুখ খোলেন সারদা কর্তার ছায়াসঙ্গী অরবিন্দ সিং চৌহান। জানিয়ে দেন ওই বৈঠকের তিনি প্রত্যক্ষদর্শী।

ততদিনে সিবিআই হেফাজতে বৈঠকের কথা স্বীকার করেন প্রাক্তন পুলিস কর্তা রজত মজুমদারও। বৈঠকে ছিলেন তিনিও। উঠে আসে সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের ছয়ই এপ্রিলের চিঠির প্রসঙ্গও। এবার মুখ খোলেন সারদা কর্তার খাস আইনজীবী নরেশ ভালোটিয়া। অভিযোগ করেন, মুকুল রায়ের কথায় পরিকল্পিতভাবেই ওই চিঠির খসড়া তাঁকে দিয়ে করিয়েছিলেন রজত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই আসিফ খানের কাছ থেকে সুদীপ্ত সেনের কলম পত্রিকার দফতরে বৈঠকের ছবি পান তদন্তকারীরা। সুদীপ্ত ফেরার থাকাকালীন পনেরোই এপ্রিল দুজার তেরোর ওই বৈঠকেও উপস্থিত ছিলেন মুকুল রায়। ছিলেন তাঁর ছেলে শুভ্রাংশুও। কিন্তু কী উদ্দেশ্যে এই পর পর বৈঠক? উত্তর মেলে সুদীপ্ত সেনের দুই হিসেব রক্ষককে জেরা করে। তাদের দাবি, সারদার টাকা দ্রুত পাচার করাই ছিল বৈঠকের উদ্দেশ্য। সেই বয়ান মিলে যায় সুদীপ্ত সেনের  গাড়ির দুই চালকের বয়ানের সঙ্গেও।

মকুল রায়ের বিরুদ্ধে উঠে আসা একের পর এক অভিযোগ আরও জোরালো হয় ব্যবসায়ী আমিনুদ্দিন সিদ্দিকির বয়ানেও। ততদিনে অবশ্য তদন্তকারীদের হাতে চলে আসে সারদা-মুকুল যোগাযোগ সংক্রান্ত আরও বেশ কিছু ছবি এবং ফোন কলের ডিটেলস।

সেই যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়েই এবারে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতাকে জেরার জন্য তলব করেছে সিবিআই।

 

.