RG Kar Incident: 'আমাকে বেআইনি ভাবে গ্রেফতার করেছে CBI! আমি পাবলিক সার্ভেন্ট, পালাব না... জামিন দিন': অভিজিত্
Abhijt Mandal: তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি FIR দায়ের-ও! স্রেফ সন্দীপ ঘোষ নন, আরজি কর কাণ্ডে টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দু'দফায় ৬ দিন সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন তিনি। আজ, বুধবার অভিজিত্-কে পেশ করা হয় শিয়ালদহ আদালতে।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'আমাকে কতদিন ধরে জেলে থাকতে হবে'? আরজি কর কাণ্ডে এবার জামিনে আবেদন করলেন টালা থানার ওসি অভিজিত্ মণ্ডল। আদালতে বললেন, 'অন্তর্বর্তী জামিন দিন। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট পালিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। যেকোনও শর্তে জামিন চাইছি'।
তথ্যপ্রমাণ লোপাট, সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি FIR দায়ের-ও! স্রেফ সন্দীপ ঘোষ নন, আরজি কর কাণ্ডে টালা থানার তত্কালীন ওসি অভিজিত্ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে সিবিআই। দু'দফায় ৬ দিন সিবিআই হেফাজতেই ছিলেন তিনি। আজ, বুধবার অভিজিত্-কে পেশ করা হয় শিয়ালদহ আদালতে।
শুনানিতে অভিজিত বলেন, আমাকে বেআইনিভাবে গ্রেফতার করেছে CBI। একজন ইন্সপেক্টরকে গ্রেফতার করার ক্ষেত্রে আইন মানা হয়নি। আমি দেরিতে FIR করেছি মনে হয় সেটা অফিসিয়াল ডিউটি। সেখানে যদি ভুল হয় সে ক্ষেত্রে রাজ্যের সম্মতি নিতে হয়। আমাকে ১০ বার ডাকা হয়। শেষবার আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করা হয়। ৪১ এ নোটিস দেওয়া হয়নি। গ্রেফতারির কারণ দেওয়া হয়নি। সেটা সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে বলেছে গ্রাউন্ড অফ অ্যারেস্ট দিতে হবেই। প্রতিবার একই কথা বলছে রিমান্ডে। ঘটনাস্থল থানা নয়। তথ্য নষ্ট করা আমার হাতে নেই। CFSLরিপোর্ট পেলে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। আমি কোথাও ৩০২ ধারা যুক্ত হতে পারি না। আমাকে কতদিন ধরে জেলে থাকতে হবে? তথ্য আসবে তারপর জিজ্ঞাসাবাদ করবে'?
সিবিআইয়ের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, 'আমরা সুপ্রিম কোর্ট অনেক কিছু জানিয়েছি। আগামী 30 তারিখ আবার সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট দিয়ে জানাব। আমাদের হাতে ম্যাজিক কিছু নেই। আমার অপেক্ষা করছি। সিসিটিভি, মোবাইল সব কিছু বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তার জন্যে অপেক্ষা করছি। তাই জন্যে এখন আমরা জেল হেফাজত চাইছি। তারপর আবার প্রয়োজনে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে'। অভিজিতের আইনজীবীর পাল্টা সওয়াল, ওপেন কোর্ট হলে পাবলিকের জানার জায়গাটা থাকবে। ওনারা অফিসিয়াল চাইলে আমরা বিরোধিতা করব'।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার সাসপেন্ড করা হয়েছে ওসি অভিজিত্-কে। কারণ, কোনও অফিসার ৪৮ ঘণ্টা পুলিস হেফাজতে কাটালে, তাঁকে সাসপেন্ড করা-ই নিয়ম। এর আগে, সার্ভে পার্কে অভিজিতের বাড়িতে যান কলকাতা পুলিসের অ্যাডিশনাল সিপি। সঙ্গে ডিসি ইস্টও। সিপি বললেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি, ওসির কোনও দোষ নেই। যা কিছু করেছেন, সত্ উদ্দেশ্যেই করেছেন'।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)