চাপে পড়ে `সবুজ` তালিকায় আরও ৫ সংবাদপত্র
সরকারি গ্রন্থাগারে দৈনিক সংবাদপত্র রাখার ওপর নির্দেশিকা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে আরও ৫টি খবরের কাগজ রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। আজকাল, কলাম, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি অলচিকি লিপি ও নেপালি ভাষার একটি করে খবরের কাগজ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই নতুন তালিকা থেকেও ব্রাত্য আনন্দবাজার পত্রিকা, বর্তমান, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতো কাগজ।
সরকারি গ্রন্থাগারে দৈনিক সংবাদপত্র রাখার ওপর নির্দেশিকা নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে আরও ৫টি খবরের কাগজ রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। আজকাল, কলাম, টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পাশাপাশি অলচিকি লিপি ও নেপালি ভাষার একটি করে খবরের কাগজ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও সেই নতুন তালিকা থেকেও ব্রাত্য আনন্দবাজার পত্রিকা, বর্তমান, দ্য টেলিগ্রাফ, দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের মতো কাগজ।
এর আগে এক সরকারি নির্দেশিকায় রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতর থেকে বলা হয়েছিল, তালিভুক্ত আটটি খবরের কাগজ রাখার জন্য অনুদান পাবে সরকারি বা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারগুলি। যদিও সেই তালিকায় নাম ছিল না আনন্দবাজার পত্রিকা, বর্তমান, আজকালের মতো বহুলপ্রচলিত বাংলা দৈনিকের। নাম ছিল না কোনও ইংরাজি দৈনিকেরও। উল্লেখযোগ্য ভাবে তালিকাভুক্ত সংবাদপত্রের সংখ্যাগরিষ্ঠকে পরিচালনা করেন জনৈক তৃণমূল সাংসদ।
মঙ্গলবার নির্দেশিকার খবর জানাজানি হতেই সরকারি ফতোয়ার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ঘটনার প্রতিবাদ করেন শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরাও। মিশ্র প্রতিক্রিয়া মেলে গ্রন্থাগারগুলি থেকে। কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে বুধবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন গ্রন্থাগারমন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। পৌনে এক ঘণ্টার বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, সরকারের নীতি মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর দফতর। এই নির্দেশিকায় মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি আছে বলেও জানান তিনি।
যদিও বৃহস্পতিবার সমালোচনার চাপে সেই তালিকায় আরও ৪টি সংবাদপত্রের নাম সংযোজন করে নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।
সন্ধ্যায় মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "ছোট সংবাদপত্রগুলিকে উত্সাহিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সমস্ত সংবাদপত্র রাখার মতো সামর্থ রাজ্য সরকারের নেই।" এদিন সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পরিকল্পিত ভাবে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।"
ওদিকে গ্রন্থাগারমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন সুব্রত মুখার্জি নামে জনৈক আইনজীবী। শুক্রবার শুনানির দিন ধার্য হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।