রাজ্যের আপত্তিকে নাকচ, রাজ্যপাল ধনখড়ের নিরাপত্তায় আজ থেকে 'সর্বত্র' মোতায়েন আধাসেনা
পুজোর আগেই নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দেন সরকারকে। তারপরই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয় যে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বিতর্কের অবসান। আজ থেকে রাজ্যপালের কনভয়ে যুক্ত হল কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ জন সিআরপিএফ নিয়ে একটি গাড়ি ওনার সঙ্গে সব জায়গায় যাবে। এছাড়াও রাজভবনে ওনার বাড়ি ও অফিসে ২৪ ঘণ্টা করে পাহারায় থাকবেন একজন-একজন, মোট দু'জন জওয়ান।
প্রসঙ্গত, পুজোর আগেই নিরাপত্তা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল চিঠি দেন সরকারকে। তারপরই কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেয় যে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়। রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি তোলে রাজ্য। প্রশ্ন ওঠে, তবে কী রাজ্য পুলিসের উপর ভরসা নেই রাজ্যপালের? এমনকি রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রের একতরফাভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে নবান্নের তরফে চিঠি দেওয়া হয় দিল্লিতে।
চিঠিতে বলা হয়, "রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে নিরাপত্তা দেওয়া রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই রাজ্য তাঁকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তাহলে হঠাৎ কেন বা কীসের জন্য রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল?" জানতে চাওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে।
আরও পড়ুন, শান্তিনিকেতন থেকে ফেরার পথে আচমকা সিঙ্গুরে রাজ্যপাল, সময় কাটালেন বিডিও অফিসে
আরও পড়ুন, 'গরুর দুধে সোনা' মন্তব্যে সমালোচনা, ইসকনে গিয়ে গোমাতার কাছে ক্ষমা চাইলেন ব্যথিত দিলীপ
প্রসঙ্গত, ৩০ জুলাই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন জগদীপ ধনখড়। এরপর ১৫ অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতি জারি করে রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আধাসেনা মোতায়েনের কথা জানানো হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই নির্দেশিকা সামনে আসতেই রুষ্ট হয় রাজ্য। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। শেষপর্যন্ত অবশ্য রাজ্যপালের নিরাপত্তায় রাজ্য পুলিসের পাশাপাশি যুক্ত হল কেন্দ্রীয় বাহিনীও।