পরীক্ষা পদ্ধতির আমূল পরিবর্তন, আসছে পার্বিক মূল্যায়ন
ইউনিট টেষ্ট তুলে দিয়ে আগামিবছর থেকে তিনটি পার্বিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রতি ৪ মাস অন্তর এই পার্বিক মূল্যায়ন করা হবে । পার্বিক মূল্যায়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি নতুনভাবে সারাবছর ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু হবে।
ইউনিট টেষ্ট তুলে দিয়ে আগামিবছর থেকে তিনটি পার্বিক মূল্যায়ন ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। প্রতি ৪ মাস অন্তর এই পার্বিক মূল্যায়ন করা হবে । পার্বিক মূল্যায়ন ব্যবস্থার পাশাপাশি নতুনভাবে সারাবছর ক্লাসে ছাত্রছাত্রীর ধারাবাহিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু হবে।
এই মুহুর্তে বছরে মোট চারটি লিখিত ইউনিট টেষ্ট ও একটি বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে হয় ছাত্রছাত্রীদের । ধারাবাহিক মূল্যায়ন পদ্ধতির অঙ্গ হিসেবে এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল। এই ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে শুক্রবার সরকারের কাছে প্রস্তাব জমা দিল সিলেবাস কমিটি। সুপারিশ অনুযায়ী সেক্ষেত্রে সারাবছর ধরেই একজন শিক্ষক একটি ছাত্র বা ছাত্রীর মূল্যায়ন করবেন। সুপারিশে আরও বলা হয়েছে প্রত্যেক ছাত্র বা ছাত্রীর ধারবাহিক মূল্যায়নের জন্য আলাদা আলাদা নোট বুক তৈরি করবেন শিক্ষকরা। সেক্ষেত্রে মূলত পাঁচটি ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীদের মূল্যায়ন করে নম্বর দেওয়া হবে। এই মূল্যায়নের জন্য লিখিত পরীক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। বাধ্যতামূলকভাবে বছরে তিনটি লিখিত পরীক্ষায় বসতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। প্রতি চারমাস অন্তর হবে এই পরীক্ষা। প্রতি চারমাসে যতটা পড়ানো হবে তার ভিত্তিতেই এই পরীক্ষা হবে। নির্দিষ্টভাবে বার্ষিক পরীক্ষা বলে কিছু থাকবে না।
প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত এই ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দিয়েছে সিলেবাস কমিটি। লিখিত পরীক্ষার যে ফল প্রকাশ করা হবে সেখানে ধারাবাহিক মূল্যায়নেরও প্রতিফলন থাকবে। যদিও সেই ফলের ওপর ভিত্তি করে ফেল বা পাশের কোনও ব্যবস্থা থাকবে না। বছরে তিনটি লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে সরকার ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন নিয়ে সিলেবাস কমিটির প্রস্তাবগুলি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত চাওয়া হবে।