পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ কাণ্ডের টাইমলাইন

অবশেষে ঘটনার এক বছর ১৪ দিন পর পার্ক স্ট্রিট মামলার চার্জগঠন হল। এই এক বছরে বহু বিতর্ক, বহু অভিযোগ উঠেছে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে। মূল অভিযুক্ত এখনও ধরা পড়েনি। অবশেষে সেই গুরুত্বপূর্ণ মামলার চার্জ গঠনকে কেন্দ্র করে কৌতূহল পুলিসমহলেও।

Updated By: Feb 19, 2013, 10:24 AM IST

শেষ পর্যন্ত পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণ মামলায় চার্জ গঠন করা হল৷ এক বছর ১৪ দিন পর পার্ক স্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে চার্জ গঠন করা হল৷
এবার একনজরে দেখা নেওয়া যাক পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডের ঘটনাপুঞ্জি---
ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১২-- পার্ক স্ট্রিটে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। প্রথমে মহিলার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করা হয়। সংবাদমাধ্যমের চাপে শেষপর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করে পার্কস্ট্রিট থানা। সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় মহিলা সঠিক অভিযোগ করছেন না। এরপর তৎকালীন পুলিস কমিশনারও মহিলার বক্তব্যে অসঙ্গতি রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন। তৎকালীন পুলিসকমিশনার রঞ্জিতকুমার পচনন্দা সাংবাদিকদের বলেন, `নাথিং হ্যাপেনড`।
ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১২-- বদলে যায় গোটা চিত্রটাই। তৎকালীন গোয়েন্দাপ্রধান দময়ন্তী সেনের নেতৃত্বে অভিযান চালান গোয়েন্দারা। ধরা পড়ে তিনজন। সুমিত বাজাজ, নাসের খান ও রুমান খান। বাজেয়াপ্ত করা হয় তাদের গাড়িও। দময়ন্তী সেন জানান সেই রাতে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপরই অবশ্য সরে যেতে হয় দময়ন্তী সেনকে। রাজ্যজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে।
মে ৩১, ২০১২-- আদালতে চার্জশিট দাখিল করে কলকাতা পুলিস। যদিও তদন্তের গাফিলতি নিয়ে একের পর এক অভিযোগ উঠতে থাকে। প্রথমে অভিযোগ নেয়নি পুলিস। ঘটনার চারদিন বাদে মেডিক্যাল পরীক্ষায় পাঠানো হয় ওই মহিলাকে। এমনকী তাঁর জামাকাপড়ও সংগ্রেহ করা হয়নি। ফলে মেডিক্যাল টেস্ট ও ফরেন্সিক পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। ফেব্রুয়ারি ১৩-এ তদন্তকারী অফিসার পেনড্রাইভে সিসিটিভির ফুটেজ নিয়েছিলেন। তাতে অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারীর উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছিল। কিন্তু তিনদিন বাদে হার্ডডিস্কটি বাজেয়াপ্ত করা হয়। পরে হার্ডডিস্ক পরীক্ষা করে দেখা যায় সেই ছবি মুছে গিয়েছে। ফলে আইনি পরিভাষায় " লাস্ট সিন টুগেদার" এর কোনও প্রমাণ থাকেনি। মূল অভিযুক্ত কাদের এবং তার সহযোগী আলিকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিস। তদন্তের এমন হাজারো গাফিলতির মাঝে বারবার শাসকদলের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ওই মহিলা। কখনও অর্পিতা ঘোষ, কখনও তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার এমন মন্তব্য করেছেন যা নতুন করে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করেছে ওই মহিলাকে।  অবশেষে এতদিন বাদে এই চার্জগঠন। অর্থাৎ শুরু হল বিচার প্রক্রিয়া।

.