শিশু বিক্রি: ২৪ ঘণ্টার স্টিং অপারেশন
শিশু বিক্রি আছে। ছেলে হলে দাম দুলাখ টাকা। মেয়ে হলে দেড় লাখ। লিঙ্গ-বর্ণ থেকে শুরু করে শিশুর সুস্থতা। এমনকি পঞ্চায়েতের বার্থ সার্টিফিকেট থেকে অভিভাবকত্বের বৈধতা। সব দায়িত্বই বিক্রেতার। বেআইনি পথে একটি সদ্যোজাত মানব শিশুর বৈধ অভিভাবক হতে পারেন আপনি। কলকাতার গা ঘেঁষেই চলছে শিশু কেনাবেচার অবৈধ কারবার। চব্বিশ ঘণ্টার গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই নগ্ন ছবি।
শিশু বিক্রি আছে। ছেলে হলে দাম দুলাখ টাকা। মেয়ে হলে দেড় লাখ। লিঙ্গ-বর্ণ থেকে শুরু করে শিশুর সুস্থতা। এমনকি পঞ্চায়েতের বার্থ সার্টিফিকেট থেকে অভিভাবকত্বের বৈধতা। সব দায়িত্বই বিক্রেতার। বেআইনি পথে একটি সদ্যোজাত মানব শিশুর বৈধ অভিভাবক হতে পারেন আপনি। কলকাতার গা ঘেঁষেই চলছে শিশু কেনাবেচার অবৈধ কারবার। চব্বিশ ঘণ্টার গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই নগ্ন ছবি।
শিশুবিক্রি চক্রের কারা প্রধান কুশীলব?
খবর ছিল গোপন সূত্রে। প্রথমে যোগাযোগ করা হয়, কলকাতার নামী স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চন্দ্রানী রায়ের সঙ্গে। তাঁর কাছ থেকে মেলে দালাল রমজানের নম্বর।
শিশুদালালের সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তার পর ফের যোগাযোগ চন্দ্রানী রায়ের সঙ্গে।
ভুয়ো পরিচয়ে এরপর সরাসরি চিকিত্সক চন্দ্রানী রায়ের সঙ্গে কথা বলেন ২৪ ঘণ্টার দুই প্রতিনিধি।
দালাল রমজানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে তারপর যাওয়া হয় বারুইপুরে। বালিগঞ্জের একটি নার্সিংহোম থেকে গাড়িতে ওঠেন চন্দ্রানী। রমজানের ঠিকানায় পৌঁছে শুরু হয় দর কষাকষি।
নবজাতকের দাম এক লাখ ষাট হাজারের চূড়ান্ত হওয়ার রমজান নিয়ে গেল উস্তিতে। ইতিমধ্যে খবর পৌঁছে গেছে স্থানীয় এজেন্ট, পেশায় চিকিত্সক কৌশিক রায়ের কাছে।
ডায়মন্ড হারবার রোড লাগোয়া উস্তি-রাজারহাট এলাকার সমাধান নার্সিংহোম। আধ ঘণ্টা অপেক্ষার পর ভেতরে যাওয়ার অনুমতি মিলল।
প্রকাশ্যে আসতে নারাজ নার্সিংহোম মালিক। তবে এলেন ম্যানেজার, পিন্টু।
বয়স অত্যন্ত কম। এই কারণ দেখিয়ে শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে কেনা হয়নি। চিকিত্সক চন্দ্রানী রায় আশ্বাস দেন, তাঁর হাতে রয়েছে আরেকটি শিশুর সন্ধান। যার জন্য যেতে হবে বাসন্তী।
মধ্য কলকাতায় মহাকরণ। আর রাজারহাট লাগোয়া উস্তি। দূরত্ব তিরিশ কিলোমিটারেরও কম। এতটুকু ব্যবধানেই আলগা হয়ে গেল আইনের শাসনের রাশ? নাকি আইনের রক্ষকদের ছত্রছায়াতেই চলছে শিশু কেনাবেচার এই ব্যবসা? শিশুবিক্রি চক্রের ঘটনা সামনে আসায় এটাই প্রশ্ন বিরোধীদের। প্রশ্ন উঠছে কলকাতার গা ঘেঁষেই এমন অবৈধ ব্যবসা অবাধে যদি চলে, তবে রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পরিস্থিতি কী রকম?