দেবলীনার হাতের লেখার এখনও মিল পায়নি সিআইডি
মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির সভানেত্রী দেবলীনা চক্রবর্তীকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জেরা করে বিশেষ কোনও তথ্যই পায়নি সিআইডি। তাই আগামী শনিবার তাঁকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিআইডি। আর সেই জন্যই কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান আদালতে পেশ করতে চলেছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।
মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির সভানেত্রী দেবলীনা চক্রবর্তীকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জেরা করে বিশেষ কোনও তথ্যই পায়নি সিআইডি। তাই আগামী শনিবার তাঁকে ফের নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় সিআইডি। আর সেই জন্যই কয়েকজন সাক্ষীর বয়ান আদালতে পেশ করতে চলেছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর। এই সাক্ষীদের বয়ানে সিআইডি প্রমাণ করতে চায়, নন্দীগ্রামে যে সশস্ত্র আন্দোলন হয়েছিল তাতে যুক্ত ছিলেন দেবলীনা। মধুসূদন ওরফে নারায়ণ মণ্ডলদের সঙ্গে সেই আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অর্থাত্ আগের সরকারের সময়ে ওঠা অভিযোগই এখন প্রমাণ করতে তত্পর সিআইডি। যদিও যে অভিযোগের ভিত্তিতে দেবলীনাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর, তার স্বপক্ষে এখনও কোনও প্রমাণ মেলেনি।
২০১০ সালের জুন মাসে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থেকে মাওবাদীদের নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির নেতা মধুসূদন মণ্ডল ওরফে নারায়ণ-সহ ৪ জন গ্রেফতার হয়েছিল। ধৃতদের থেকে একটি চিঠি মেলে। সেই চিঠিটি লিখেছিল দেবু নামে একজন। সিআইডি তদন্ত করে এই মামলায় চার্জশিটও দাখিল করে। সিআইডি মনে করে, সেই দেবুই আসলে দেবলীনা চক্রবর্তী। সেই কারণেই চিঠির সঙ্গে হাতের লেখা মেলানোর জন্য দেবলীনার বাড়িতে তল্লাসিও চালায় পুলিস। সংগ্রহ করা হয়ে দেবলীনার হাতের লেখা। চিঠির লেখার সঙ্গে দেবলীনার হাতের লেখা মিলিয়ে দেখার জন্য পাঠানো হয় হস্তলিপিবিদদের কাছে। কিন্তু সেই হাতের লেখার সঙ্গে ওই চিঠির হাতের লেখার মিল নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন গোয়েন্দারা। আগামী শনিবারের মধ্যে হস্তলিপিবিদদের রিপোর্ট পাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তাই আদালতে সাক্ষীদের বয়ানকেই হাতিয়ার করতে চলেছে রাজ্য গোয়েন্দা দফতর।