আপনার ৮ জন অনুপস্থিত সাংসদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? পাল্টা মুকুলের

প্রধানমন্ত্রী কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ভোটাভুটিতে সংসদের উভয়কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না? পার্কসার্কাসের সভায় প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা মুকুল রায় পাল্টা জানতে চাইলেন, মমতার ৮ জন সাংসদ কেন লোকসভায় গরহাজির ছিলেন? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? 

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Dec 20, 2019, 09:38 PM IST
আপনার ৮ জন অনুপস্থিত সাংসদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? পাল্টা মুকুলের

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রধানমন্ত্রী কেন নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ভোটাভুটিতে সংসদের উভয়কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না? পার্কসার্কাসের সভায় প্রশ্ন তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি নেতা মুকুল রায় পাল্টা জানতে চাইলেন, মমতার ৮ জন সাংসদ কেন লোকসভায় গরহাজির ছিলেন? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? 

শুক্রবার পার্ক সার্কাসের সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় দাবি করেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন সমর্থন করেন না খোদ প্রধানমন্ত্রীই। তাঁর যুক্তি, প্রধানমন্ত্রী বিলের সমর্থনে ভোট দেননি। মমতার যুক্তি উড়িয়ে পাল্টা মুকুল রায় প্রশ্ন ছোড়েন,মন্ত্রিসভার বৈঠকে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। ওই বৈঠকে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আপনার সদিচ্ছা থাকলে লোকসভায় তৃণমূলের ৮ জন সাংসদ ছিলেন না কেন? তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? 

মমতা এদিন বলেন,''সিএবি এত ভালো, প্রধানমন্ত্রী আপনি ভোট দিলেন না কেন? সংসদে আপনি ছিলেন না। আপনি ভোট দিলেন না। তাহলে আপনিও সমর্থন করেন না। সমর্থন না করলে প্রত্যাহার করে নিন।'' মুকুল রায় মনে করিয়ে দিয়েছেন, আইনটা নরেন্দ্র মোদী করেননি। এটা সংসদ করেছে। রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করেছেন। ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যাহার করতে পারে না।    

শুরু থেকে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারের অংশ হয়ে দেশের আইনের বিরোধিতা কতটা সংবিধানসম্মত, সেনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মুকুল। তাঁর কথায়,''সরকারের সমস্ত ক্ষমতা ভোগ করছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আইন তো মানতে হবে।  নাগরিকরা প্রতিবাদ করছেন। সরকারও তাঁদের সংশয় দূর করতে অত্যন্ত সচেষ্ট যাতে অশান্তি না হয়। কিন্তু এখানে সরকারের মদতে চলছে হিংসা।'' মুকুলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রীর পদে ইস্তফা দিয়ে আন্দোলন করলে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত ওনার। 

এটা ঘটনা, লোকসভা ও রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে ভোটাভুটির সময় ছিলেন না নরেন্দ্র মোদী। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে বিতর্কের সৃষ্টি হতে পারে তা অনুধাবন করে দূরত্ব রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকেই মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী অনুপস্থিত থেকে শ্যাম ও কূল দুই-ই রেখেছেন।       

উল্লেখ্য, লোকসভায় এনআরসি নিয়ে ভোটাভুটিতে গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের ৮ সাংসদ। তাঁরা হলেন  দীপক অধিকারী ওরফে দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহান শিশির অধিকারী, দিব্যেন্দু অধিকারী, সাজদা আহমেদ, খলিলুর রহমান ও চৌধুরী মোহন জাটুয়া। শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় যেতে পারেননি বলে সাফাই দেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ। নুসরত জাহান টুইট করেছিলেন,  টুইটারে বসিরহাটের সাংসদ লিখেছেন,''সহকর্মী ও আমি এনিয়ে ব্যাখ্যা দিতে চাই। আমরা শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। এটা আমাদের একটা অতিরিক্ত দায়িত্ব। সেটে তিনশোরও বেশি মানুষ প্রতিদিন ৩০০ টাকার মজুরিতে কাজ করেন।''          

আরও পড়ুন- নাগরিকত্ব জট কাটাতে ৩ দফা শর্ত দিয়ে আরও বিভ্রান্তি বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

.