মোর্চার সিদ্ধান্তকে ফেসবুকে স্বাগত মুখ্যমন্ত্রীর

ফেসবুকে মোর্চার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তাদের জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। সোমবার ফেসবুক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর পাহাড়ের ভাইবোনেরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে রাজি হওয়ায় তিনি খুব খুশি।

Updated By: Jul 1, 2012, 11:19 AM IST

ফেসবুকে মোর্চার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা তাদের জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায়। সোমবার ফেসবুক বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর পাহাড়ের ভাইবোনেরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে রাজি হওয়ায় তিনি খুব খুশি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এবার পাহাড় সত্যিই হাসছে। পাহাড়ে শান্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির এক নতুন যুগের সূচনা হবে বলেও আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। এজন্য পাহাড়বাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।   
অবশেষে আন্দোলনের পথ ছেড়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় এল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার কোর কমিটির বৈঠকে জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। দার্জিলিংয়ের পালতেবাসে বৈঠকে বসে মোর্চার কোর কমিটি। বৈঠক শেষে মোর্চা নেতারা জানিয়েছেন, জিটিএ-র পঁয়তাল্লিশটি আসনেই প্রার্থী দিচ্ছেন তাঁরা। বৈঠকে বিমল গুরুংকেও ভোটে দাঁড়াতে অনুরোধ জানানো হয়েছিল। ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ভেবে দেখতে সময় চেয়েছেন বিমল গুরুং। কয়েকদিন আগেও, জিটিএ-তে তরাই ও ডুয়ার্সের মৌজার অন্তর্ভুক্তির দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারের ওপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছিল মোর্চা নেতৃত্ব। নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। তবে, শেষপর্যন্ত রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পথই বেছে নিয়েছে মোর্চা নেতৃত্ব।

সূর্য প্রতীকচিহ্ন নিয়ে ভোটে লড়তে আগ্রহী তারা। রাজনৈতিক দলের স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আগেই নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন মোর্চা নেতারা।
সোমবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে পাহাড়ে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে সরকার। আগামী ২৯ জুলাই গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিষ্ট্রেশনে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয় রাজ্যের তরফে। মঙ্গলবার দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে আলোচনার পরই জিটিএ নির্বাচন প্রশ্নে কিছুটা সুর নরম করেছিল মোর্চা নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা।

.