তৎপর চিকিৎসা নয়, ডেঙ্গি নিয়ে কমিটি গঠন পুরসভার

আশু মোকাবিলার পথে না হেঁটে, ডেঙ্গির চিকিত্সা পদ্ধতি কী হবে তা ঠিক করতে কমিটি গড়ল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার বক্তব্য, বেসরকারি ডায়াগনাস্টিক সেন্টার এবং চিকিত্সকেরা ডেঙ্গি নির্ণয়ের যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, তা ভুল পদ্ধতি। সঠিক চিকিতসা পদ্ধতি তৈরি করতে তাই কমিটি গড়া হচ্ছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়মাবলী তৈরি হবে। পনের দিন পর ফের বৈঠকে বসবে পুরসভা। আর এই নিয়মাবলী আদৌ কবে পৌঁছবে শহর কলকাতার চিকিত্সকদের কাছে তা নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন।

Updated By: Aug 10, 2012, 08:15 PM IST

আশু মোকাবিলার পথে না হেঁটে, ডেঙ্গির চিকিত্সা পদ্ধতি কী হবে তা ঠিক করতে কমিটি গড়ল কলকাতা পুরসভা। পুরসভার বক্তব্য, বেসরকারি ডায়াগনাস্টিক সেন্টার এবং চিকিত্সকেরা ডেঙ্গি নির্ণয়ের যে পদ্ধতি অবলম্বন করে, তা ভুল পদ্ধতি। সঠিক চিকিতসা পদ্ধতি তৈরি করতে তাই কমিটি গড়া হচ্ছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে নিয়মাবলী তৈরি হবে। পনের দিন পর ফের বৈঠকে বসবে পুরসভা। আর এই নিয়মাবলী আদৌ কবে পৌঁছবে শহর কলকাতার চিকিত্সকদের কাছে তা নিয়েই রয়েছে প্রশ্ন।
কলকাতা পুরসভার অভিযোগ, ডব্লুএইচও-র নিয়ম মেনে কলকাতায় ডেঙ্গির চিকিত্সা করা হচ্ছে না। আর সে জন্যই অহেতুক আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ডেঙ্গির নির্ণায়ক কী হবে, বা ডেঙ্গির চিকিত্সা পদ্ধতি কী, তা ঠিক করতে কলকাতা পুরসভার তরফে যে কমিটি তৈরি করা হয়েছে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিনের অধিকর্তা কৃষ্ণাংশু রায়। এই নিয়মাবলী সাত দিনের মধ্যে তৈরি হলেও কলকাতার বেসরকারি চিকিত্সকদের কাছে তা কবে পৌঁছবে, এ নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন। আদৌ সেই নিয়মাবলী মেনে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্তদের চিকিত্সা হবে কিনা, তা নিয়ে রয়ে গেছে সন্দেহ। তবে এরই মধ্যে মেয়র-পারিষদের  সাফাই, কলকাতায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি আদৌ উদ্বেগজনক নয়।
শুক্রবার ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠকে বসে কলকাতা পুরসভা। বৈঠকে ছিলেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। এছাড়াও ছিলেন স্কুল অফ ট্রপিকাল মেডিসিন, ন্যাশনাল ভেক্টর কন্ট্রোল বোর্ড,  শহরের পঁচিশটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনাস্টিক সেন্টারের প্রতিনিধিরা। বৈঠকে ডেঙ্গি আক্রান্ত কোনও রোগী ভর্তি হলে, বা কারও রক্তের নমুনায় ডেঙ্গির জীবাণু পেলে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পক্ষ থেকে পুরসভায় জানানোর জন্য বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে রোগীর ঠিকানাও জানাতে হবে। সেই ঠিকানা পাওয়ার পরই এলাকায় গিয়ে ওষুধ ছড়ানোর কাজে নামবে পুরসভা। তবে এরই মধ্যে রুটিন ওষুধ ছড়ানোর কাজ চলবে। তার সঙ্গে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বাড়াতেও জোর দেবে পুরসভা।

.