Mamata Banerjee: 'রাহুল গান্ধী যদি বিপদে পড়তে পারেন, সরকারি কর্মচারীদের গাল দিয়ে মমতা কেন নন'!
অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে অবস্থান কিন্তু চলছে এখনও। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে চোর, ডাকাতরা বসে। যারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, তারাই বসে'।
দেবারতি ঘোষ: মানহানির মামলায় আপাতত স্বস্তিতে রাহুল গান্ধী। তাঁর জামিনের মেয়াদ যখন বাড়ল, তখন মু্খ্যমন্ত্রীর মন্তব্য় নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। তাদের দাবি, 'সরকারি কর্মীদের কটু কথার বলার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে না'? শুধু তাই নয়, ১০ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে কোর্টে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হল দলের শ্রমিক সংগঠনের তরফে।
বকেয়া ডিএ মেলেনি এখনও। উল্টে আন্দোলনকারীদের 'চোর,ডাকাত' বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রতিবাদে ৬ এপ্রিল হাইকোর্ট-সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে কর্মী সংগঠনগুলি। সেই কর্মবিরতিতে স্রেফ শামিল হওয়াই নয়, রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে এবার মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের দাবিও তুলল কংগ্রেস!
কীভাবে? লোকসভা ভোটের প্রচারে মোদী পদবী নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে রাহুল গান্ধী। মানহানির মামলায় তাঁকে দু'বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে গুজরাতের সুরাত আদালত। এমনকী, সাংসদ পদও খারিজ হয়ে গিয়েছে রাহুলের! কারণ, কোনও জনপ্রতিনিধির যদি দুই বা তার বেশি বছরের কারাদণ্ড হয়, তাহলে তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদও খারিজ হয়ে যায়।
সম্প্রতি কলকাতায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে ধরনায় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই ধরনা মঞ্চ থেকেই তিনি বলেন, 'ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে চোর, ডাকাতরা বসে। যারা চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, তারাই বসে'। কংগ্রেসের দাবি, 'মুখ্য়মন্ত্রীর মন্তব্য়ে সরকারি কর্মচারীদের সম্মানহানি হয়েছে। মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীর যদি সাজা হয়, তাহলে মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও ফৌজদারি মামলা দায়ের করতে হবে'। বস্তুত, রাজ্যের মুখ্যসচিব ও হেয়ার স্ট্রিটে থানা এই মর্মে অভিযোগপত্রও জমা দিয়েছে তারা।
এদিকে রাহুল গান্ধী সাজা ও সাংসদ পদ খারিজ বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল। তাহলে? রাজ্যের বকেয়া আদায় করতে দিল্লিতে গিয়েছেন অভিষেক। গতকাল, মঙ্গলবার দিল্লিতের সাংবাদিকদের সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি। সূত্রের খবর, 'সেখানে অভিষেক বলেন, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যা হয়েছে, তা যদি অন্য় কোনও সাংসদের সঙ্গে হত, সেক্ষেত্রে তৃণমূল তার বিরোধিতা করত। এখন কংগ্রেসকেই নিজেদের অবস্থান ঠিক করতে হবে'। কেন? এ রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেঁধেছে কংগ্রেস।