আমিনুলের বাড়িতে গেলেন পুলিসের শীর্ষকর্তারা
কড়েয়াকাণ্ডে মৃত আমিনুল ইসলাম ওরফে গুড্ডুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন পুলিসের শীর্ষকর্তারা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে। সমালোচনার মুখে কার্যত চাপে পড়েই পুলিসের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
কড়েয়াকাণ্ডে মৃত আমিনুল ইসলাম ওরফে গুড্ডুর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাড়িতে গিয়ে দেখা করলেন পুলিসের শীর্ষকর্তারা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা রুজু হয়েছে। সমালোচনার মুখে কার্যত চাপে পড়েই পুলিসের এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে বিভিন্ন মহল।
আমিনুল ইসলামের মৃত্যুর চারদিন পর শনিবার প্রথম তাঁর পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে গেলেন শীর্ষ পুলিসকর্তারা। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যান কলকাতা পুলিসের যুগ্ম কমিশনার আর ত্রিপুরারি, ডিসি এসএসডি দেবব্রত দাস। পুলিসের বিরুদ্ধে তাঁদের কী কী অভিযোগ রয়েছে সেসব কথা শোনেন তিনি। আমিনুলের মৃত্যুর পর তাঁর বাড়ির লোকজন কড়েয়া থানার তিন পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। তিনশো ছয় ধারায় মামলাও দায়ের করে পুলিস। অভিযুক্ত দুই এসআই বিনোদ কুমার, রঞ্জিত যাদব এবং কনস্টেবল নাসিম খানকে ক্লোজ করা হয়েছে।
কড়েয়াকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত শাহজাদা বক্সের ঘনিষ্ঠ ল্যাংড়া সেলিম, কলিম ও শামসেরের বিরুদ্ধে আমিনুলের পরিবার ২ জানুয়ারি কড়েয়া থানায় হামলার অভিযোগ দায়ের করে। তাঁদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিস। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত কলিম শনিবার আলিপুর জজ কোর্টে আত্মসমর্পন করে। জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কড়েয়াকাণ্ডে ধর্ষিতার অভিযোগ, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য এখনও শাহজাদা ঘনিষ্ঠরা হুমকি দিচ্ছে তাঁকে। এখনও অধরা ল্যাংড়া সেলিম, শামসের। এরওপর কলিম জামিন পেয়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে কিশোরীর পরিবার। কড়েয়া ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত শাহজাদা বক্সের পরিবারের তরফেও শনিবার আলিপুর জজ কোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি হবে ৯ জানুয়ারি।