একদিনে চিহ্নিত প্রায় ২০০ বাড়ি! উদ্বেগ বাড়িয়ে কলকাতায় দেড় হাজার ছুঁই ছুঁই কনটেইনমেন্ট জোন
রাজ্যে মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা এখন ২,৪৫৫টি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা সংক্রমণের নিরিখে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কলকাতা। কলকাতায় প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা। কিছুতেই যেন রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণ। সরকারি রিপোর্ট বলছে, এই মুহূর্তে শুধু কলকাতায় মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৫৭টি। একদিনে নতুন করে কলকাতায় কনটেইনমেন্ট জোন (বাড়ি বা ফ্ল্যাট) চিহ্নিত হয়েছে ১৮০টি।
এদিন নবান্নে মুখ্যসচিবের দেওয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী রাজ্যে মোট কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা এখন ২,৪৫৫টি। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক জেলাভিত্তিক রিপোর্ট-
উত্তর দিনাজরপুর- ৮
মুর্শিদাবাদ- ৪
বাঁকুড়া- ১৪০
কোচবিহার- ৩১
কালিম্পং- ৩৮
বীরভূম- ৯
দার্জিলিং- ২
মালদা- ২০
উত্তর ২৪ পরগনা- ২১৯
পশ্চিম বর্ধমান- ১
পশ্চিম মেদিনীপুর- ৯৮
পূর্ব বর্ধমান- ১১৪
দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ৬১
হুগলি- ৭১
হাওড়া- ১২১
নদিয়া- ৩৫
পূর্ব মেদিনীপুর- ৪
জলপাইগুড়ি- ১
দক্ষিণ দিনাজপুর- ১
পুরুলিয়া- ২০
কলকাতা- ১৪৫৭
কলকাতায় কেন এভাবে বাড়ছে কনটেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা? কেন রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণ? প্রত্যেকের মনেই এখন এই একটাই প্রশ্ন। এপ্রসঙ্গে এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা বলেন, "বিদেশ থেকে আসা প্লেন ও পরিযায়ীদের নিয়ে ট্রেন এরাজ্যে আসার পরই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। এছাড়াও আমফানের পর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। যার ফলে সংক্রমণ বেড়েছে।"
প্রসঙ্গত বুধবারের বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২,৩০০ জন। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০৬ জন। এরমধ্যে কলকাতায় মোট আক্রান্ত ৪,০৮৯ জন। মোট মৃত ৩০৮ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সক্রিয় আক্রান্ত ২,১৮৩ জন।
আরও পড়ুন, আমফানের পর একমাসেও লিঙ্ক নেই পোস্টঅফিসে, টাকার অভাবে আটকে জরুরি অস্ত্রোপচার