গ্রেফতার হবেন মুকুল? নাকি সামলে নেবেন? উত্তর মিলবে কিছুক্ষণের মধ্যে
সিবিআই দফতরে আজই হাজিরা দিতে যাচ্ছেন মুকুল রায়। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বস্তরে টেনশন তুঙ্গে। প্রশ্ন, তিনিও কি গ্রেফতার হয়ে যাবেন? নাকি অনায়াসে জেরা সামলে বেরিয়ে আসবেন পোড় খাওয়া ক্রাইসিস ম্যানেজার? তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদকের কী হবে, তাকিয়ে গোটা রাজ্য।
সবাই জানত। কিন্তু কবে, তা নিয়েই জল্পনা ছিল তুঙ্গে। সব জল্পনার অবসান হল সেই সোমবার।
কার্ড-১২ জানুয়ারি
সিবিআইয়ের নোটিস পৌছল মুকুল রায়ের মেলে। মুকুল রায়কে সাতদিনের মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দিল সিবিআই। কলকাতায় ফিরে সিবিআই দফতরে দেখা করবেন বলেও মুকুল রায় জানালেন দিল্লিতে ।
কার্ড--১৪ জানুয়ারি
কলকাতায় ফিরলেন মুকুল রায়। তৃণমূল ভবন ঘুরে নবান্নেও বৈঠক করলেন। সন্ধ্যায় বদলে গেল ছবি। সিবিআইয়ের দফতরে আইনজীবী মারফত চিঠি পাঠিয়ে হাজিরার জন্য বাড়তি পনেরো দিন সময় চাইলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক। সিবিআইয়ের দাবি, মঞ্জুর করা হয় সাতদিন।
কার্ড--১৯ জানুয়ারি
টানাপোড়েন শেষ। সারদাকাণ্ডের সিবিআই তদন্তে আদালতের নজরদারি চেয়ে রাজ্য সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস মামলা করল সুপ্রিম কোর্টে । কপিল সিব্বলকে রাজি করানো নিয়ে শুরু রাজনৈতিক টানাপোড়েন।
কার্ড--২১ জানুয়ারি
বিচারপতি নাগাপ্পনের অসুস্থতার কারণে ২২ জানুয়ারি মামলার শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। শুনানির সম্ভাব্য দিন নির্ধারিত হয় ২৭শে জানুয়ারি। মুকুল রায় সাংবাদিকদের জানান, মাঝে নেতাজি জন্ম জয়ন্তী, সরস্বতী পুজো রয়েছে । তারপর প্রজাতন্ত্র দিবস ও রাষ্ট্রপতি ভবনে নিমন্ত্রণ রক্ষা করে সাতাশ তারিখের পরেই তিনি সিবিআইয়ের মুখোমুখি হবেন।
কার্ড--২৭ জানুয়ারি
বিচারপতিরা ব্যস্ত থাকায় মামলাই উঠল না সুপ্রিম কোর্টে। একরাশ হতাশা নিয়ে পরের দিনই কলকাতায় ফিরলেন মুকুল রায়।
মন্তব্য নতুন নয়। তবে শুক্রবারই যে যাচ্ছেন তা এতদিনে ফাইনালি জানিয়ে দিলেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকেই নিজাম প্যালেসে মুকুলের ঠিকানায় তার অনুগামীদের ব্যাপক ভিড়। কিন্তু কী করবে সিবিআই? শুধুই প্রশ্নোত্তর, নাকি প্রথম দিনেই গ্রেফতার? শুধু তৃণমূল শিবিরই নয়, এই প্রশ্নই রাজ্য ছাড়িয়ে পাক খাচ্ছে রাজধানীতেও।