কীভাবে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করছে স্থানীয় প্রশাসন? এবার নজরদারিতে প্রত্যেক জেলায় নোডাল অফিসার
মোটা ১২ জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের দায়িত্বে এক বা একাধিক জেলা থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা আবহে জেলাগুলির পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। এবার জেলাগুলির দায়িত্বে নিয়োগ করা হল নোডাল অফিসার। মোটা ১২ জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। তাঁদের প্রত্যেকের দায়িত্বে এক বা একাধিক জেলা থাকবে।
ইতিমধ্যেই সেই তালিকা প্রকাশ করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারকে তাঁদের নিজেদের জেলা পরিদর্শনে যেতে বলা হয়েছে।
করোনা মোকাবিলায় মূলত জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করবেন এই আধিকারিকরা। তাঁদের পরামর্শ দেবেন। এক একটি জেলায় কোনগুলি হাই রিস্ক জোন, সেগুলি চিহ্নিত করা হবে। সেই মোতাবেক লকডাউন সম্পূর্ণ রূপে মানা ও যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় যাতে অযথা আতঙ্ক না ছড়ায়, স্থানীয় বাজারগুলিতে যাতে ভিড় না হয়, সেদিকেও নজর রাখবেন নোডাল আধিকারিকরা।
হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়াকে ইতিমধ্যেই অতি স্পর্শকাতর এলাকা বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে হাওড়াকে গ্রিন জোনের মধ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেখানে কড়া পুলিসি নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, উত্তর ২৪ পরগনাকেও রে়ড জোন থেকে দ্রুত অরেঞ্জ জোনে আনতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসানসোল ইতিমধ্যেই অরেঞ্জ জোনে চলে এসেছে। এছাড়াও জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা নিয়ে বেশ সচেতন মুখ্যমন্ত্রী। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকাগুলির ওপর নিজেই নজর রেখেছেন তিনি। জেলাগুলিতেও নজরদারি বাড়াতে নোডাস অফিসার নিয়োগ করলেন তিনি।