সিপিআইএমের ২৩তম রাজ্য সম্মেলন শুরু কলকাতায়
চার বছর আগে, ২০০৮ সালে ২২তম রাজ্য সম্মেলনে শিল্পায়ন নিয়ে আলোচনাকেই অভিমুখ করেছিল সিপিআইএম। ২৩তম সম্মেলনে তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে সেই দিশানির্দেশ বদলে গেল `গরিব মানুষের সমর্থন ফিরে পাওয়া`র দিকে।
চার বছর আগে, ২০০৮ সালে ২২তম রাজ্য সম্মেলনে শিল্পায়ন নিয়ে আলোচনাকেই অভিমুখ করেছিল সিপিআইএম। ২৩তম সম্মেলনে তাত্পর্যপূর্ণ ভাবে সেই দিশানির্দেশ বদলে গেল `গরিব মানুষের সমর্থন ফিরে পাওয়া`র দিকে। মতাদর্শগতভাবে দলকে আরও শক্তিশালী করে গরীব মানুষের ঐক্যকে আরও মজবুত করার লক্ষ্যেই বুধবার সকাল থেকে জ্যোতি বসু নগরের প্রমোদ দাশগুপ্ত ভবনের হরকিষেণ সিং সুরজিত্ মঞ্চে শুরু হল দলের ২৩ তম রাজ্য সম্মেলন।
রাজ্য সম্মেলন শুরুর ঠিক আগের দিন, মঙ্গলবার দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু বলেছেন রাজনৈতিক রং না দেখে সমস্ত গরিব মানুষকে একজোট করাই দলের প্রাথমিক লক্ষ্য। ৪ দশকেরও বেশি সময় পরে এ রাজ্যে এই প্রথম বিরোধী আসনে থেকে দলের রাজ্য সম্মেলন করছে সিপিআইএম। স্বভাবতই গত কয়েকটি সম্মেলনের চেয়ে এই রাজ্য সম্মেলন সিপিআইএমের কাছে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক উভয় ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে একদিকে যেমন বিধানসভা নির্বাচনে হারের কারণ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে অন্যদিকে কী ভাবে নতুন করে দলীয় সংগঠনকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করানো যায়, সে বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। আর সে ক্ষেত্রে সিপিআইএম সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে গরিব মানুষের সমর্থন ফিরে পাওয়াকে।
বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতেগিয়ে সিপিআইএম নেতৃত্বের স্বীকার করে নিয়েছিলেন বহু জায়গাতেই দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। রাজ্য সম্মেলনে ত্রুটি-বিচ্যুতি মুক্ত দল গড়ার বিষয়টি গুরুত্ব পাবে। রাজ্যের ১৯টি জেলা থেকে আগত ৮০০ প্রতিনিধির মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে কিছু কার্যকরী প্রস্তাব গৃহীত হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রকাশ্য সমাবেশের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে রাজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি হবে।
২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির সম্মেলনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কারণ জাতীয় রাজনীতিতে প্রভাব বাড়াতে হলে এ রাজ্যের ভোটের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর সেই কারণেই সিপিআইএম সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত, পলিটব্যুরো সদস্য সীতারাম ইয়েচুরি, বৃন্দা কারাত সহ দলের প্রায় সব শীর্ষ নেতাই উপস্থিত রয়েছেন আজ থেকে শুরু হওয়া ৪ দিনের রাজ্য সম্মেলনে।