ঘুরে দাঁড়াতে পাখির চোখ ব্রিগেড
রাজ্যে বিরোধী আসনে বসার পর ১৯ তারিখ প্রথম ব্রিগেডে সমাবেশ করছে সিপিআইএম। এই সমাবেশকে ব্যাপক চেহারা দিতে সমস্ত জেলা কমিটিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সিপিআইএম রাজ্য কমিটি। ২ দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
রাজ্যে বিরোধী আসনে বসার পর ১৯ তারিখ প্রথম ব্রিগেডে সমাবেশ করছে সিপিআইএম। এই সমাবেশকে ব্যাপক চেহারা দিতে সমস্ত জেলা কমিটিগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে সিপিআইএম রাজ্য কমিটি। দু দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোন জেলা থেকে কত সমর্থককে উপস্থিত করানো সম্ভব তাও নির্দিষ্ট করে আলোচনা হয়েছে। রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পর প্রায় সব জেলাতেই ধাক্কা খেয়েছে সিপিআইএমের সাংগঠনিক শক্তি। দলের সম্মেলন প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটাতে মরিয়া সিপিআইএম। আর সেই কারণেই দলের রাজ্য সম্মেলনের শেষে ব্রিগেডের সমাবেশকে জনসমুদ্রের আকার দিতে চাইছে দলীয় নেতৃত্ব। দু দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে প্রত্যেকটি জেলাকমিটিকে উনিশের সমাবেশের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে। সমাবেশে সমর্থকদের উপস্থিতি ব্যাপক করতে প্রত্যেকটি জেলাকে বিশেষ টার্গেটও দেওয়া হয়েছে।
সেই তালিকা অনুযায়ী কলকাতা জেলা থেকে উপস্থিত থাকবেন ২ লক্ষ মানুষ। উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ২ লক্ষ মানুষ। দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে ১ লক্ষ সমর্থক। বর্ধমান থেকেও প্রায় এক লক্ষ মানুষ অংশ নেবেন ব্রিগেড সমাবেশে। হাওড়া ও হুগলি এই দুই জেলা মিলিয়ে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ উপস্থিত হবেন বলে মনে করছে সিপিআইএম নেতৃত্ব।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মূল্যায়ন উনিশের ব্রিগেডে তারা যদি ১০ লক্ষ মানুষকে উপস্থিত করাতে পারেন, তাহলে বিরোধী দল হিসাবে তা আক্ষরিক অর্থেই হবে নজিরবিহীন। বিরোধী আসনে বসে নজিরবিহীন ব্রিগেড সমাবেশ গড়তে ব্যাপক প্রচার চালাবে সিপিআইএম। ব্রিগেডের জন্য এলাকায় এলাকায় পথসভা হবে। ওই পথসভাগুলিতে বক্তা হিসাবে থাকবেন নিরুপম সেন, সূর্যকান্ত মিশ্র, গৌতম দেবের মত দলের শীর্ষ নেতারা। উনিশ তারিখের সমাবেশের প্রধান বক্তা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু। তবে সিপিআইএম কর্মী-সমর্থকদের কাছে এবারের ব্রিগেডে নিশ্চিতভাবেই বাড়তি উত্সাহ সুশান্ত ঘোষের উপস্থিতি।