উত্তরবঙ্গে ব্যবসা বাড়াতে সুদীপ্তর ডেয়ারির প্ল্যানের ব্লুপ্রিন্ট ২৪ঘণ্টার হাতে

দক্ষিণবঙ্গে ব্যবসায় খুশি ছিলেন সুদীপ্ত সেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের পারফরম্যান্সে তেমন সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই উত্তরবঙ্গে ছিল ডেয়ারি খোলার ছক। এক একটা কোম্পানি খুলে কুমির ছানার মতো তা দেখিয়ে ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলার ছকটা অনেক জায়গাতেই কাজে লাগিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাতে চিট ফান্ডের ব্যবসাও বাড়ত। উত্তরবঙ্গে এই ডেয়ারি তৈরির ব্লু প্রিন্ট ২৪ ঘণ্টার হাতে। সিবিআই-কে লেখা চিঠিতে সারদা গোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন তিনি ১৬০টি কোম্পানির মালিক।

Updated By: May 2, 2013, 09:31 AM IST

দক্ষিণবঙ্গে ব্যবসায় খুশি ছিলেন সুদীপ্ত সেন। কিন্তু উত্তরবঙ্গের পারফরম্যান্সে তেমন সন্তুষ্ট ছিলেন না। তাই উত্তরবঙ্গে ছিল ডেয়ারি খোলার ছক। এক একটা কোম্পানি খুলে কুমির ছানার মতো তা দেখিয়ে ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা তোলার ছকটা অনেক জায়গাতেই কাজে লাগিয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন। তাতে চিট ফান্ডের ব্যবসাও বাড়ত। উত্তরবঙ্গে এই ডেয়ারি তৈরির ব্লু প্রিন্ট ২৪ ঘণ্টার হাতে। সিবিআই-কে লেখা চিঠিতে সারদা গোষ্ঠীর মালিক সুদীপ্ত সেন জানিয়েছিলেন তিনি ১৬০টি কোম্পানির মালিক।
সত্যিই কি এই সব কোম্পানিতে ব্যবসা হত?  তথ্য বলছে এই সব কোম্পানিকেই কুমিরছানার মত দেখিয়ে সারদা কর্ণধার বাজার থেকে টাকা তুলতেন। কখনও তাঁর টার্গেট ছিল গরিব সাধারণ মানুষ, কখনও ব্যাঙ্ক আবার কখনও বা ছোট-বড় কোনও শিল্পপতি। তেমনই একটি সংস্থা পোলবার গ্লোবাল অটোমোবাইলস। 
সারদা গোষ্ঠীর চিট ফান্ডের জাল বিছানোর পরবর্তী টার্গেট ছিল উত্তরবঙ্গ। তাই সুদীপ্ত সেনের কুমিরছানা দেখানোর এই খেলায় নবতম  সংযোজন হতে চলেছিল বানারহাটে ডেয়ারি ব্যবসা। সংস্থার নাম দেওয়া হয়েছিল আম্মা ডেয়ারি। গত বছরের অগাস্টের শুরু হয় নতুন ব্যবসার পরিকল্পনা। সিদ্ধান্ত হয়েছিল সারদা আম্মা ডেয়ারির নামে নতুন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার। ঠিক হয়েছিল লোককে বোঝান হবে, গুজরাটের এক দুগ্ধ প্রকল্পের আদলে এই প্রকল্প তৈরি হচ্ছে। আর তা দেখিয়ে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে চিট ফান্ডের ব্যবসার বাড়বাড়ন্ত ঘটানো হবে। ওই ডেয়ারি দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ও বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনাও ছিল সারদা কর্ণধারের মাথায়।
 
 

.