বিজেপির আশা ছাড়লেন দেবশ্রী? বিধানসভায় উদয় হলেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক
তথ্য সংস্কৃতি ও স্বাধিকার (প্রিভিলেজ) কমিটির সদস্য দেবশ্রী রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: দেবশ্রী রায়কে নিয়ে হুলস্থুল রাজ্য বিজেপি। তাঁকে দলে নেওয়া নিয়ে তীব্র আপত্তি শোভন-বৈশাখীর। আর দেবশ্রীকে দলে চেয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দেবশ্রীর কোনও খোঁজ নেই। বুধবার বিধানসভায় উদয় হলেন তৃণমূলের রায়দিঘির সাংসদ। যোগ দিলেন স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে। গল্প করলেন তৃণমূল বিধায়কদের সঙ্গেও। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রতিক্রিয়া, শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে।
তথ্য সংস্কৃতি ও স্বাধিকার (প্রিভিলেজ) কমিটির সদস্য দেবশ্রী রায়। ওই দুটি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে বুধবার বিধানসভায় হাজির হলেন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক। অথচ সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনে একদিনও দেখা যায়নি দেবশ্রীকে। বরং এর মাঝে তিনি হাজির হয়েছিলেন দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে। তবে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেননি রায়দিঘির বিধায়ক। কারণ, তাঁকে নিয়ে আপত্তি শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দিলীপ ঘোষের বাড়িতেও গিয়েছিলেন দেবশ্রী। কিন্তু দেখা হয়নি। পরে ফোনে কথা হয়। ফলে বিধানসভায় তাঁর গরহাজিরা প্রত্যাশিতই ছিল। কিন্তু বুধবার সকলকে চমকে দিলেন দেবশ্রী। মহিলা বিধায়কদের ঘরে তিনি বেশ খানিকক্ষণ আড্ডাও মারেন।
বিজেপিতে তাঁকে নিয়ে যখন দক্ষযজ্ঞ তখন ফের বিধানসভায় দেবশ্রীর হাজিরা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি বিজেপি থেকে ইতিবাচক সংকেত না পেয়ে পুরনো দলেই ভরসা রাখছেন দেবশ্রী রায়? সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাব দিতে চাননি তৃণমূলের বিধায়ক। হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে যান।
দেবশ্রীকে নিয়ে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে। স্টান্ডিং কমিটিতে তৃণমুলের বিধায়ক হিসাবে এসেছেন। কেন আত্মগোপন করল? সেটা দেবশ্রী রায় বলতে পারবেন। আমি তো পারব না। শুধু বলতে চাই, উনি তৃণমুলের বিধায়ক। এখন তিন চরিত্রের গল্প দেখছি। রাজনীতি তো কোথাও দেখছি না।''
দেবশ্রী রায়কে নিয়ে বিজেপির অন্দরে বইছে ঝড়। সোমবার পূর্ব বর্ধমানে একটি জনসভায় বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''দেবশ্রীকে দলে নেওয়া হলে যদি বৈশাখী দল ছেড়ে চলে যায় তো যাবে। শোভন যায় তো যাবে। তাতে কিছু যায় আসে না। নিজের স্বামী থাকতে মাথায় সিঁদুর নিয়ে অন্যের স্বামীকে নিয়ে ঘোরা বাংলার মানুষ পছন্দ করে না। এই পরকীয়া বাংলার মানুষ মেনে নেবে না।'' জয়ের এহেন মন্তব্য ভালো চোখে নেননি শোভন-বৈশাখী। দল ছাড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন। দিলীপ ঘোষ আবার জয়ের ব্যক্তিগত মত বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ট্রাফিক আইন ভাঙলে নতুন নিয়মে চড়া জরিমানা নয়, স্পষ্ট করলেন মমতা