পার্কিং টেন্ডার ঘিরে ফের বিতর্কে পুরসভা
ত্রিফলা কাণ্ডের জের কাটতে না কাটতে ফের বিতর্কে কলকাতা পুরসভা। এবার বিতর্ক পার্কিংয়ের ওপেন টেন্ডার ঘিরে। ওপেন টেন্ডারের সিদ্ধান্ত বাতিল করল কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, চাপের মুখে পড়ে ওপেন টেন্ডার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেও শেষপর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হল পুরসভাকে।
ত্রিফলা কাণ্ডের জের কাটতে না কাটতে ফের বিতর্কে কলকাতা পুরসভা। এবার বিতর্ক পার্কিংয়ের ওপেন টেন্ডার ঘিরে। ওপেন টেন্ডারের সিদ্ধান্ত বাতিল করল কলকাতা পুরসভা। সূত্রের খবর, চাপের মুখে পড়ে ওপেন টেন্ডার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেও শেষপর্যন্ত পিছিয়ে আসতে হল পুরসভাকে।
গত ১৬ নভেম্বর টেন্ডার চলাকালীন হঠাত্-ই পুরসভার ভিতরে ঢুকে টেন্ডার বক্স ভেঙে দেয় একদল যুবক। এর জেরে সেদিন পণ্ড হয়ে যায় টেন্ডার প্রক্রিয়া। এরপরই আধিকারিকরা পার্কিং দফতরে ওপেন টেন্ডার ডাকার আবেদন জানান। দফতরের মেয়র পারিষদের হাত হয়ে আবেদন পৌঁছয় মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ওপেন টেন্ডার ডাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে হঠাত্ পিছিয়ে আসে পুরসভা। স্থির হয় এতদিন যে দুটি কো-অপারেটিভ সংস্থা কলকাতার পার্কিং ব্যবস্থা চালিয়ে আসছিল তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দেওয়া হবে সব পার্কিং লট।
পাইওনিয়ার কো-অপারেটিভ কারপার্কিং ওয়াকার্স ইউনিয়ন, কলকাতা কারপার্কিং কো-অপারেটিভ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। এরমধ্যে প্রথমটির সভাপতি রাজ্যের মন্ত্রী মদন মিত্র ও সম্পাদক অরূপ বিশ্বাস। দ্বিতীয়টির সভাপতি রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। পুরসভা সূত্রের খবর ১৬ নভেম্বর ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত রয়েছে কলকাতা কারপার্কিং কো-অপারেটিভ এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। তাদের নামে নিউমার্কেট থানায় এফআইআরও করা হয়। কিন্তু এতদিনেও ধরা পড়েনি অভিযুক্তরা।
পুরসভা সূত্রে খবর, মেয়রের সঙ্গে কথা বলেই ওপেন টেন্ডারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহাকরণের নির্দেশেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পিছিয়ে আসেন মেয়র। ফলে ওপেন টেন্ডার ডেকে পুরসভার ভাঁড়ারে যে টুকু বাড়তি আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছিল তাও নষ্ট হল বলেই মনে করছেন পুরসভার কর্মীদের একাংশ।