সেন স্যারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন দেবযানী

সেন স্যারের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁর সবসময়ের ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায়। যা আরও চাপে ফেলছে সারদা কর্তাকে। প্রথম দিকে পুলিসি জেরায় আতঙ্কিত দেবযানী এখন অনেকটাই চাপমুক্ত। কিন্তু সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ডের এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? তবে কি রাজসাক্ষী হওয়ার পথে দেবযানী?

Updated By: May 6, 2013, 09:23 AM IST

সেন স্যারের বিরুদ্ধে এবার মুখ খুলতে শুরু করেছেন তাঁর সবসময়ের ছায়াসঙ্গী দেবযানী মুখোপাধ্যায়। যা আরও চাপে ফেলছে সারদা কর্তাকে। প্রথম দিকে পুলিসি জেরায় আতঙ্কিত দেবযানী এখন অনেকটাই চাপমুক্ত। কিন্তু সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ডের এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে? তবে কি রাজসাক্ষী হওয়ার পথে দেবযানী?
বৈভব আর বিলাসবহুল জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। একসময়ে দিনের বেশির ভাগ সময় কাটত সল্টলেকের ঝাঁ চকচকে, এসি লাগানো অফিসে। রাত কাটত বিলাসবহুল, সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে। সর্বক্ষণ দামী শাড়ি আর বহুমূল্য প্রসাধনে সজ্জিত। সঙ্গে ম্যাচিং গয়না। চাইলেই হাজির দামী গাড়ি। নামী হোটেল থেকে খাবারের প্যাকেট। শপিং মলে গিয়ে দেদার কেনাকাটা। কিংবা আমানতকারীদের পয়সায় ইচ্ছেমত দানধ্যান। এই লাইফ স্টাইলেই অভ্যস্ত ছিলেন দেবযানী মুখোপাধ্যায়। সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ড।
কিন্তু সেখান থেকে আচমকা পতন। 
তাই নিউটাউন থানার লক আপে আর সাধারণ খাবার মুখে রুচছে না সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ড দেবযানী মুখার্জির। শেষ পর্যন্ত তাঁর জন্য আলাদা করে স্যান্ডউইচের ব্যবস্থা করতে হল পুলিসকে। রবিবারের সন্ধেয় কিছুটা হলেও তা তৃপ্তি করে খেলেন দেবযানী। সন্ধেয় সুদীপ্ত, দেবযানীকে জেরা করতে নিউটাউন থানায় যান বিধাননগর পুলিসের কমিশনার রাজিব কুমার এবং গোয়েন্দা প্রধান অর্ণব ঘোষ। গোয়েন্দা কর্তাদের কাছে থানার খাবারে নিজের আপত্তির কথা জানান দেবযানী। শেষমেশ তাঁর জন্য বাইরে থেকে আনানো হয় স্যান্ডউইচ। আনানো হয় মিনারেল ওয়াটার। আর থানার বিশেষ ঘরে বেশ গল্প করতে করতে একসঙ্গে চলে খাওয়া এবং জেরা, দুই পর্ব।
কিন্তু নিজের হঠাত্‍ এই পতনটা মন থেকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না দেবযানী। জেরায় এখন তাই সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের বিরুদ্ধেই বারবার আঙুল তুলেছেন সেন স্যারের সবসময়ের ছায়াসঙ্গী।
সূত্রের খবর, একটানা পুলিসি জেরায় মানসিক ভাবে আরও ভেঙে পড়েছেন সুদীপ্ত সেন। গোয়্ন্দাদের কাছে জেরায় তাঁর হতাশা আরও বেশি করে প্রকট হয়েছে। জেরায় সারদার কর্ণধার বলেছেন, এতদিন যাঁদের তিনি হিতাকাঙ্খী বলে জানতেন, আজ তারাই ছুরি মারছে। এমনকি যাঁরা নিয়মিত টাকা নিয়েছেন, তাঁরাও এখন উল্টোসুর গাইছেন বলে অভিযোগ সুদীপ্ত সেনের।
বছরের পর বছর তছরূপ করেছেন কোটি কোটি টাকা। উড়িয়েছেনও দেদার। ভরসা ছিল, শেষ পর্যন্ত হয়ত সঙ্গে পাবেন ছায়াসঙ্গীনিকে। কিন্তু দেবযানীর বয়ান তাঁর বিরুদ্ধে যাওয়ায় ক্রমশ চাপে সেন স্যার। পুলিসি জেরার মানসিকভাবে বিধ্বস্ত সারদা কেলেঙ্কারির নায়ক সুদীপ্ত সেন। কিন্তু একটানা পুলিসি জেরার চাপ কাটিয়ে সারদার সেকেন্ড ইন কমান্ডের এই বডি ল্যাঙ্গুয়েজ? কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে এটা?  

.