Dengue In Bengal: পুজোর আগেই উদ্বেগ বাড়িয়ে বাংলায় সংক্রমণ বাড়ছে ডেঙ্গির বিপজ্জনক ভ্যারিয়্যান্টের
Dengue In Bengal: ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সার্বিক ডেঙ্গি সেরোটাইপিংয়ের তথ্য বলছে, ডেঙ্গ-৩ হয়েছে শতকরা ৫২ শতাংশ মানুষের। ডেঙ্গ-২-এর শিকার শতকরা ৩৪ শতাংশ মানুষ। আর ডেঙ্গ-১ হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষের। ডেঙ্গ-৪-এর শিকার মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কলকাতার পুলিস কমিশনার বিনীত গোয়েল। জ্বর নিয়ে ভর্তি হলেন বেসরকারি হাসপাতালে। জানা গিয়েছে, গত ২ দিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন বিনীত গোয়েল। জ্বর না কমায় তিনি পরীক্ষা করান। সেই রিপোর্ট আসার পরই দেখা যায় যে তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এরপরই বিনীত গোয়েলকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাঁর রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা ও শরীরে জলের মাত্রার দিকেও বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ক্রমশ বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ। কলকাতা থেকে জেলা, ক্রমশ চওড়া হচ্ছে ডেঙ্গির থাবা। রাজ্যের ১৮টি ব্লকে বেশি ছড়িয়েছে ডেঙ্গি। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আগে দাপট দেখাচ্ছিল একা ডেঙ্গ-৩ ভ্যারিয়্যান্ট। এখন স্বাস্থ্যকর্তাদের চিন্তা বাড়িয়ে এবার ধীরে ধীরে সংক্রমণের হার বাড়াচ্ছে ডেঙ্গ-২-ও। সাধারণভাবে ডেঙ্গির ৪ রকমের সেরোটাইপ বা প্রজাতির দাপট-ই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখা যায়। কোন সেরোটাইপয়ের দাপট বেশি, তার উপর নির্ভর করে রাজ্যের সার্বিক ডেঙ্গি চিত্র। ঘটনা হল কিছুদিন আগে পর্যন্তও অনেকটাই প্রভাব দেখা যাচ্ছিল ডেঙ্গ-৩-এর। যার প্রভাবে সাধারণত প্লেটলেট কমে গিয়ে রোগীর বিপদ দেখা দিয়ে থাকে।
কিন্তু, সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, প্রভাব বাড়ছে ডেঙ্গ-২-এরও। আর এটাই চিন্তা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। কেন? কারণ, ডেঙ্গির এই প্রজাতি রোগীর একাধিক অঙ্গে হানা দিয়ে শক সিন্ড্রোম ডেকে আনে। চিকিৎসকদের রোগীকে বাঁচানোর জন্য তখন আর কিছুই করার থাকে না। ২০১৯ সালে এই প্রজাতির ডেঙ্গি-ই দাপট দেখিয়েছিল রাজ্যে। আক্রান্ত হয়েছিলেন ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছিল শতাধিক। চলতি বছরেও গত দু-তিন সপ্তাহে অধিকাংশ ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু-ই হয়েছে শক সিন্ড্রোমের জেরে।
আরও পড়ুন, End of Covid Pandemic: করোনা কি তবে এবার সত্যিই শেষ হতে চলেছে?
৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের সার্বিক ডেঙ্গি সেরোটাইপিংয়ের তথ্য বলছে, ডেঙ্গ-৩ হয়েছে শতকরা ৫২ শতাংশ মানুষের। ডেঙ্গ-২-এর শিকার শতকরা ৩৪ শতাংশ মানুষ। আর ডেঙ্গ-১ হয়েছে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষের। ডেঙ্গ-৪-এর শিকার মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ। চলতি মাসে আরও ৫০টি নমুনা সেরোটাইপিংয়ের জন্য নাইসেডে পাঠানো হয়। সেখানকার রিপোর্ট বলছে, তারমধ্যে ডেঙ্গ-৩-এ আক্রান্ত ৬০ শতাংশ মানুষ। ডেঙ্গ-২ প্রজাতিতে আক্রান্ত ২০ শতাংশ। আর ডেঙ্গ-১-এ ৭ শতাংশ এবং ডেঙ্গ-৪-এ ২ শতাংশ আক্রান্ত।
এই পরিস্থিতিতে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে কলকাতা পুরসভার তরফে জরুরি ভিত্তিতে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। কারণ, আসন্ন উৎসবের মরশুমের কলকাতায় যদি ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়ে, কলকাতা যদি ডেঙ্গি কবলিত হয়ে পড়ে, তবে জেলা থেকে শপিং বা বিভিন্ন কারণে কলকাতায় আসা মানুষরা বিপদে পড়বে। প্রকারন্তরে জেলাতেও বাড়বে সংক্রমণ।