থমকে প্রকল্পের কাজ, তীব্র জলকষ্টে বাইপাস
প্রকল্পের কাজ শেষে করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও অর্ধেকের বেশি কাজ বাকি পূর্ব কলকাতার ধাপা জল শোধন প্রকল্পের। ফলে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছয় না গার্ডেনরিচের পরিশ্রুত পানীয় জল। ওই এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ২০০৮-এ কেন্দ্রীয় সরকারের জেএনএনইউআরএম-এর আওতায় ধাপায় `জ্যোতি বসু জল পরিশোধন প্রকল্প` গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
প্রকল্পের কাজ শেষে করার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও অর্ধেকের বেশি কাজ বাকি পূর্ব কলকাতার ধাপা জল শোধন প্রকল্পের। ফলে বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছয় না গার্ডেনরিচের পরিশ্রুত পানীয় জল। ওই এলাকায় পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে ২০০৮-এ কেন্দ্রীয় সরকারের জেএনএনইউআরএম-এর আওতায় ধাপায় `জ্যোতি বসু জল পরিশোধন প্রকল্প` গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জলাভূমি এলাকায় প্রকল্প গঠনের অভিযোগে, শুরুতেই মামলা করা হয় আদালতে। সেই জটিলতা কাটিয়ে ২০০৯-এ প্রকল্পটি শুরু হয়। ২০১১-র শুরুতেই কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। যদিও, নির্ধারিত সময়সীমার প্রায় দেড় বছর পর এখনও অধিকাংশ কাজই বাকি। কলকাতা পুরসভা ঠিক সময়ে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট জমা না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় বরাদ্দের টাকা আসতে দেরি হয়েছে। মল্লিকঘাট পাম্পিং স্টেশন থেকে ধাপা প্রকল্পে জল নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল করা হয়।
পার্কসার্কাসের বস্তি অঞ্চলে পাইপলাইন বসানোর ক্ষেত্রে জটিলতার আশঙ্কায় ঠিক হয় মল্লিকঘাটের বদলে বাগবাজার ঘাট থেকে জল নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু, বাগবাজার ঘাটের ওই জমি বন্দর ও রেলের হাতে থাকায় দেরি হয় সেখানেও। শুরুতে ধাপা জল পরিশোধন প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছিল ৯৯ কোটি টাকা। প্রকল্প রূপায়ণে দেরি হওয়ায় বর্তমানে সেই খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৯৯ কোটিতে। জেএনএনইউআরএম-এর বিধি অনুযায়ী এই বাড়তি ৯৩ কোটি টাকার সবটাই দিতে হবে কলকাতা পুরসভাকে। এবারের পুর-বাজেটে ধাপা জল শোধন প্রকল্পের উল্লেখ থাকলেও কোনও অর্থ বরাদ্দের কথা বলা হয়নি। নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি কাজ শেষের সময়সীমাও। সব মিলিয়ে, আরও একটা গ্রীষ্মে তীব্র জলসঙ্কটের মুখেপূর্ব কলকাতার বিস্তীর্ণ অংশের বাসিন্দারা।