'হামলাকারীরা তাঁর ভোটার,তাই তাদের গ্রেফতার করছেন না মুখ্যমন্ত্রী', পদত্যাগের দাবি বিজেপির
"যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : "ডাক্তারদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী। ডাক্তারদের উপর হামলা চালাল যে সমাজবিরোধীরা তাদের ধরতে ব্যর্থ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ সেই দুষ্কৃতীরা তাঁর ভোটার। এখন উল্টে ডাক্তারদের হাসপাতাল, হস্টেল ছাড়তে নির্দেশ দিচ্ছেন তিনি। ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি আমরা শুরু করিনি। তিনি-ই সবকিছু শুরু করেছেন।" এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর করা মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে হুঁশিয়ারির কড়া নিন্দা করে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করল রাজ্য বিজেপি।
উল্লেখ্য, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে এদিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনআরএস কাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতারের পরেও ধর্মঘট কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি। এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব।" মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, "যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।" হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এরপরই এসএসকেএম চত্বরে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি তুলে ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। হুঁশিয়ারি দেন, "৪ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। সরকার তাঁদের আর কোনও সাহায্য করবে না।" পাশাপাশি হস্টেল খালি করার নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। গলায় আই-কার্ড ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর 'ওরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়, আউটসাইডার' মন্তব্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান জুনিয়র ডাক্তাররা।
আরও পড়ুন, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে ফিরহাদ কন্যা, বিপদে 'আশ্রয়' নেওয়ার ডাক কেপিসিতে
এরপর বেলা ২টো নাগাদ এসএসকেএম-এর ইমার্জেন্সি বিভাগ খুলে দেওয়া হলেও আন্দোলনে অনড় রয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ইমার্জেন্সি বা ওপিডি এখন সবটাই এখন সামলাবেন সিনিয়র ডাক্তাররা। আর আন্দোলনে অনড় জুনিয়র ডাক্তারদের স্পষ্ট বক্তব্য, "রাজ্যজুড়ে জুনিয়র ডাক্তাদের আন্দোলন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে। মুখ্যমন্ত্রী জোর করতে গেলে ফল ভয়ানক হবে।"