অস্বস্তি হবে কেন! সব দলের নেতারাই আমন্ত্রিত ছিলেন, নাড্ডা-গুরুং নিয়ে দিলীপ
খুনের মামলায় ফেরার বিমল গুরুং। তাঁর জামিনও খারিজ হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শরিক দলের নেতা আমন্ত্রিত হবেন, এটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়েতে বিমল গুরংয়ের আমন্ত্রণ নিয়ে সাফাই দিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর ব্যাখ্যা, বাংলায় তো যে কেউ যার নামে কেস দিয়ে দিয়েছে। আমাদের সাংসদের নামেও তো শ্লীলতাহানির কেস দিয়েছে।
পুলিসের খাতায় ফেরার বিমল গুরুং। গত ২ বছর ধরে তাঁর খোঁজ মিলছে না। সেই বিমল গুরুংকে দেখা গেল জেপি নাড্ডার ছেলের বিয়ের রিসেপশনে। ওই ছবিটি নিয়ে অবশ্য কোনও অস্বস্তি নেই দিলীপ ঘোষের। তিনি জি ২৪ ঘণ্টাকে ফোনে বলেন,''অস্বস্তি হওয়ার কী আছে! যে কেউ যার নামে কেস দিয়েছে। আমাদের সাংসদেরর নামে শ্লীলতাহানির কেস দিতে পারে। কেস নিয়ে কারও চরিত্র বিশ্লেষণ হয় না।''
খুনের মামলায় ফেরার বিমল গুরুং। তাঁর জামিনও খারিজ হয়েছে। স্মরণ করিয়ে দিতে দিলীপের জবাব, একই মামলা রয়েছে বিনয় তামাংয়ের বিরুদ্ধে। তিনি তো মুখ্যমন্ত্রীর পাশে বসে থাকেন। সরকারি পদেও রয়েছেন। এর পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন,''বিমল গুরুং আমাদের জোটসঙ্গী। বিজেপি নেতার সামাজিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন, এটাই তো স্বাভাবিক। সমস্ত বিরোধী নেতারাও ছিলেন। সাংসদরাও আমন্ত্রিত হয়েছিলেন। অধীরবাবুও গিয়েছিলেন রিসেপশনে।'' প্রশ্ন উঠছে, সব দলের নেতারা বলতে কাদের বোঝালেন দিলীপ ঘোষ?
২০১৭ সালের জুনে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন বিমল গুরুং। টানা ১০৫ দিন ধরে পাহাড়ে ছিল অচলাবস্থা। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিসের উপরে হামলার মতো ঘটনা ঘটে। বিমল গুরুং, রোশন গিরিদের বিরুদ্ধে দায়ের হয় খুন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় মামলা। খুন, অগ্নিসংযোগ-সহ একাধিক ফৌজদারি মামলা চলছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে। ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- মুখনির্ভর রাজনীতিতে পুরভোট ও একুশের বিধানসভায় জ্যোতি-বুদ্ধেই আস্থা CPM-র