Hookah Bar: 'হুক্কাবার থেকে পয়সা আসছে না, তাই বন্ধ', সরকারের নয়া নির্দেশিকা নিয়ে কটাক্ষ দিলীপের
শহরে রেস্তোরাঁ থাকবে, কিন্তু হুক্কা বার নয়! কলকাতায় নিষিদ্ধ হতে চলেছে হুক্কা বার। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে পুরসভা। খুব তাড়াতাড়ি নির্দেশিকাও জারি করা হবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শহর কলকাতায় নিষিদ্ধ হতে চলেছে হুক্কা বার। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে পুরসভাও। নির্দেশিকাও জারি হতে চলেছে খুব শীঘ্রই। বাতিল হচ্ছে লাইসেন্সও। 'হুক্কা বারের আড়ালে নিষিদ্ধ মাদক ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে তরুণ প্রজন্ম। সেই কারণেই এমন নির্দেশ, ইতোমধ্যেই তা জানিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। এদিন ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচির শেষে মেয়র জানান, নতুন কাউকে হুক্কা বার খোলার অনুমতি তো দেওয়া হবেই না, পাশাপাশি যে সমস্ত বারে হুক্কা পাওয়া যায়, তাদেরও যত শীঘ্র সম্ভব হুক্কা বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন, 'আগেও হুঙ্কার দিয়েছেন, কিছু যায় আসে না', অভিষেকের সভা নিয়ে দিলীপের 'ডোন্ট কেয়ার'
আর এই প্রসঙ্গেই শাসকদলকে নিশানা করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, 'ওয়াইন বার গুলো বন্ধ হবে না? হুক্কাবার থেকে কী দুষ্কর্ম ছড়াচ্ছে জানি না। কিন্তু পাড়ায় পাড়ায় ঠেক খুলে দিয়েছেন। বাড়িতে বাড়িতে মারপিট হয়। পাড়ায় পাড়ায় মারপিট হয়। কারণ ওয়াইন বার থেকে পয়সা আসছে। হুক্কাবার থেকে আসছে না হয়তো। তাই বন্ধ করে দিচ্ছেন।'
সূত্রের খবর, ২০১০ সাল থেকে কলকাতায় হুক্কা বারের লাইন্সেস দেওয়া কার্যত বন্ধ। কিন্তু আইনের ফাঁক গলে বহু রেস্তোরাঁয় এখনও চলছে হুক্কা বার! কীভাবে? অনলাইনে যখন লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতেন রেস্তোরাঁ মালিকরা, তখন ঘুরপথে হুক্কা বারের অনুমোদনও আদায় করে নেওয়া হত। অনলাইনে সেই সুযোগ এখন বন্ধ করে দিয়েছে পুরসভা। অবৈধ হুক্কা বার বন্ধে অভিযান চালানোর জন্য কলকাতা পুলিসের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে পুর-আধিকারিকদের।
ফিরহাদ বলেন, যদি দেখা যায় কোনও রেস্তোরাঁয় গোপনে হুক্কা বার চালানো হচ্ছে, সেক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট রেস্তোরাঁ লাইসেন্সও বাতিল করে দেওয়া হতে পারে। শহরে হুক্কা বারের বাড়বাড়ন্তে কার্যত নাজেহাল নেতামন্ত্রীরাও। অভিযোগ করা হয়েছিল বিধানসভায়। মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে হুক্কা বার বন্ধের করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রত বক্সি। জল গড়িয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত।