মমতার কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব ছাড়, এ এক রাজ্য চলছে বটে: দিলীপ
এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন বিমল গুরুং।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এনডিএ ছাড়লেন বিমল গুরুং। একাধিক মামলায় ফেরার। অথচ বুধবার কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠক করলেন গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার নেতা। ওই সাংবাদিক বৈঠকেই ঘোষণা করলেন, প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা রাখেননি। এনডিএ ছাড়ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, সেটাই করেন। মমতাকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চান। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুতেই ছাড়। বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ছত্রধর মাহাতো। এখন দেখার বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে মামলার কী হাল হয়?
এ দিন দিলীপ ঘোষ বলেন,''পাহাড় ছাড়া ছিলেন দীর্ঘ দিন । পাহাড়ে ফিরতে চেয়েছিলেন, তাই আত্মসমর্পণ করলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুতেই ছাড় মেলে। বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছত্রধর মাহাতো। এখন দেখার বিমল গুরুংদের বিরুদ্ধে মামলার কী হয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাছে আত্মসমর্পণ করলে সব কিছুই ছাড় । এ এক রাজ্য চলছে বটে!''
বিজেপি প্রশ্ন তুলেছে, তৃণমূলের সঙ্গে কী রফা হল বিমল গুরুংয়ের? সাংবাদিক বৈঠকে তো বারবার গোর্খাল্যান্ডের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। তাহলে কি গুরুংয়ের দাবি মেনে নিয়েছে তৃণমূল? বিষয়টি স্পষ্ট করতে হবে তৃণমূলকে।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বিমল গুরুং বলেন, ''প্রধানমন্ত্রী হোক বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী- কেউই কমিটমেন্ট রাখেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে যে কমিটমেন্ট করেছেন, সব পূরণ করেছেন। আজ থেকে এনডিএ ছাড়ছি। ২০২১ সালের নির্বাচনে আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে জোটে লড়াই করব। বিজেপিকে মোক্ষম জবাব দেব।'' এর পাশাপাশি ঘোষণা করেছেন, ২০২১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ফের বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে চান।
আরও পড়ুন- মোদী-শাহ কথা রাখেননি, মমতা যা বলেন তাই করেন, একুশের আগে ডিগবাজি গুরুংয়ের