এক টাকার কয়েন রাস্তা থেকে কুড়িয়েছিলাম,দান করলাম, শোভনকে কটাক্ষ দিলীপের

ভাইফোঁটায় কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ৭ দিন কাটতে না কাটতেই শোভনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিল রাজ্য সরকার।

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Nov 1, 2019, 06:23 PM IST
এক টাকার কয়েন রাস্তা থেকে কুড়িয়েছিলাম,দান করলাম, শোভনকে কটাক্ষ দিলীপের

অঞ্জন রায়: রাস্তা থেকে ১ টাকার কয়েন কুড়িয়েছিলাম। সেটাই ফিরিয়ে দিলাম। নাম না করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গে এমনটাই বলে দিলেন দিলীপ ঘোষ। এর পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, কোনও দায়িত্বের কথা ওনার সঙ্গে হয়নি। সক্রিয়ভাবে দলের কাজেও ছিলেন না। 

ভাইফোঁটায় কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায় ও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ৭ দিন কাটতে না কাটতেই শোভনের নিরাপত্তা ফিরিয়ে দিল রাজ্য সরকার। ওয়াই ক্যাটগরির নিরাপত্তা পাবেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র। চলতি বছর ১৪ অগাস্ট বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন শোভন ও বৈশাখী। কিন্তু বিজেপির মায়া কাটিয়ে এবার তাঁরা তৃণমূলের পথে। এটা কি বিজেপির ধাক্কা? দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া,''কোনও দায়িত্বের কথা হয়নি। সক্রিয় কাজেও যুক্ত ছিলেন না। বিজেপিতে আসার পর একদিন এসেছিলেন রাজ্য দফতরে। সম্মান জানিয়ে দিয়েছিলাম। দলের কর্মসূচিতে ছিলেন না। আমি নিজেও ফোন করেছিলাম।'' তাহলে দলে নিয়েছিলেন কেন? দিলীপের দাবি, ভেবেছিলাম, সত্যি কাজ করবেন। অনেক লোক এসেছেন। চলে গেছেন। যাঁরা সুবিধার দেখেননি চলে গিয়েছেন। 

দিলীপের কটাক্ষ, রাস্তায় ১ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। দান করে দিলাম। এতে দলের কোন ক্ষতি হয়নি। যারা তাঁর নিরাপত্তা কেড়ে নিয়েছিলেন, তারাই আবার কেন ফেরত দিল? সেটা ওরাই বলতে পারবে।

রাজনৈতিক মহলের মতে, শোভন তৃণমূলে ফিরলে মুখ পুড়বে মুকুল-দিলীপের। তাঁরাই উদ্যোগ নিয়ে তাঁকে বরণ করেছিলেন বিজেপিতে। ভেবেছিলেন, তৃণমূলকে মস্ত ধাক্কা দেওয়া যাবে। কিন্তু সেটাই পর্যবসিত হতে চলেছে রাজনৈতিক হারাকিরিতে। বরং শোভন বিজেপিতে ২ মাস থাকায় লাভবান হতে চলেছে তৃণমূল। বিজেপির নারদ হাতিয়ার কার্যত ভোঁতা হয়ে গেল। নারদ নিয়ে বিজেপি সরব হলেই পাল্টা তৃণমূল বলার সুযোগ পেয়ে গেল, নারদ-অভিযুক্তকে তো নিয়েছিল বিজেপিই। বিজেপি থাকলে নারদ অভিযুক্ত কি সাধু হয়ে যাবেন? যেটা সারদাকাণ্ডে হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে গেরুয়া শিবির। রাজনীতির প্রেক্ষাপটে দেখতে গেলে একের পর এক পুরসভা দখলে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। এবার শোভনকেও ধরে রাখতে পারল না। 

আরও পড়ুন- মানুষের সমর্থন হারিয়েছেন, তাই মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে খারাপ শব্দ বেরিয়ে পড়ছে: দিলীপ

 

.