দীপককে সাসপেন্ড, সোহরাবকে ছাড়, স্পিকারে ভূমিকায় বিরক্ত বিরোধীরা
দুজনই বিধায়ক। আইন অনুযায়ী বিধানসভার স্পিকারের কাছে দুজনেই সমান। কিন্তু এরাজ্যে সবই অন্যরকম। তাই সাজাপ্রাপ্ত বিধায়ক সোহরাব আলিকে ছাড় স্পিকারের। কিন্তু শুধু গ্রেফতারেই বিধানসভার বুলেটিনে নাম উঠলো দীপক হালদারের। কারণ দলনেত্রী তাঁকে সাসপেন্ড করেছেন। তাই স্পিকারকেও কড়া হতে হবে।
দুই বিধায়ক, দুই নীতি
নয় নয় করে একসপ্তাহেরও বেশি পুরনো ঘটনা। রেলের লোহা চুরির ঘটনায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় সোহরাব আলি। সাজাও ঘোষণা করে দেয় আদালত। পরে জেলা আদালত থেকে সেই আদেশের স্থগিতাদেশও আসে। কোনও বিধায়ক সাজাপ্রাপ্ত হলে স্পিকার তাঁকে সাসপেন্ড করবেন। এটাই দেশের আইন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বসেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, সোহরাবকে বহিষ্কার নিয়ে এখনও কিছু ভাবেনইনি তিনি। কেন? স্পিকারের ব্যাখ্যা, এখনও আদালতের আদেশ তাঁর হাতে এসে পৌঁছয়নি।
উল্টোদিকে মাত্র দুদিন আগের ঘটনা। ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদারকে গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনার সময় নয়, মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ আসার পর। বুধবার দলনেত্রী সাসপেন্ড করেন দীপককে। আটদিনের পুরনো সোহরাবের খবর স্পিকারের কাছে না পৌছলেও দীপকের খবর সঙ্গে সঙ্গে পৌছে গেছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। আর সেখবর পৌছতে না পৌছতেই মুহুর্তে পদক্ষেপ নিয়ে ফেলেছেন তিনি। বুলেটিনে তুলে দিয়েছেন দীপক হালদারের নাম।
বিরোধীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন ডান দিকে তাকিয়ে বিধানসভা চালান স্পিকার। অর্থাত্, যেদিকে মুখ্যমন্ত্রী সহ রাজ্যের তাবড় মন্ত্রীরা বসেন সেদিকে তাকিয়ে। এবার সেই অভিযোগের সুর আরও চড়া করবে বিরোধীরা।