চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ, গ্রামে ফিরছেন সিদ্দিকা
হরমোনের বিরল রোগে আক্রান্ত সিদ্দিকা পরভিনের চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। পরিবারের অভিযোগ, গত পাঁচই জুলাই খুব ঘটা করে সিদ্দিকাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
হরমোনের বিরল রোগে আক্রান্ত সিদ্দিকা পরভিনের চিকিত্সায় গাফিলতির অভিযোগ উঠল। পরিবারের অভিযোগ, গত পাঁচই জুলাই খুব ঘটা করে সিদ্দিকাকে কলকাতায় নিয়ে আসেন কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু একমাস কেটে গেলেও সিদ্দিকার কোনও চিকিত্সাই শুরু হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। প্রতিশ্রুতি মতো সিদ্দিকার পরিবারের থাকা-খাওয়ারও ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে রাস্তায় দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন সিদ্দিকার পরিবারের সদস্যরা।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাসিন্দা সিদ্দিকা পরভিন। হরমোনের বিরল রোগে আক্রান্ত। দেহ বিশালাকার হয়ে যাচ্ছে। বছর পঁচিশের সিদ্দিকার প্রতিদিন প্রায় দু`কিলো চালের ভাত লাগে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে সিদ্দিকার এই বিরল রোগের চিকিত্সা করা সম্ভব হয়নি। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর চিকিত্সার ব্যবস্থা করে রাজ্য সরকার। কারামন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর উদ্যোগে গত ৫ জুলাই সিদিক্কাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। গঠন করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড।
গত একমাসে সিদ্দিকার চিকিত্সায় বিশেষ কিছু করা হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর পরিবারের। সিদ্দিকার বেশি পরিমাণ খাবার দরকার হয়। সেকথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। টাকার অভাবে ইতিমধ্যেই বালুরঘাটে ফিরে গিয়েছেন সিদ্দিকার মা। এই অবস্থায় তাঁদের পক্ষেও বেশিদিন কলকাতায় থাকা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সিদ্দিকার প্রতিবেশী। কারামন্ত্রীর সঙ্গে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন তাঁরা।
তবে এই ধরনের বিরল রোগের চিকিতসায় আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই অবস্থায় হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না সিদ্দিকা। সুচিকিত্সার আশা ছেড়ে, এখন ঘরে ফিরতে আগ্রহী তিনি। আর তাঁর পরিবারের অভিযোগ, কী চিকিৎসা, কী তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত, কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখেননি মন্ত্রীরা।