ছানি অপারেশন থেকে সংক্রমণ, চিকিৎসকের গাফিলতির মাশুল দিতে তুলে ফেলতে হল চোখটাই!
সংক্রমণের হাত থেকে রোগীর প্রাণ বাঁচাতে ৬৫ বছরের ঝুনু দত্তের চোখ তুলে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় নেই, জানান চিকিৎসকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন : চোখের ছানি অপারেশন করতে গিয়ে শেষমেশ গোটা চোখটাই উপড়ে তুলে ফেলতে হল। ভুল চিকিৎসার জেরেই এমন পরিণতি বলে দাবি করেছে পরিবার। এই ঘটনায় অভিযোগ জমা পড়েছে রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল, স্বাস্থ্য ভবন ও যাদবপুর থানায়।
জানা গিয়েছে, ৬ জানুয়ারি সুগার ও চোখের সমস্যা নিয়ে যাদবপুরের কেপিসি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হন ঝুনু দত্ত। ১১ তারিখ তাঁর বাম চোখে ছানি অপারেশন করা হয়। অভিযোগ, সেদিন বিকেলের পর থেকেই শুরু হয়ে যায় চোখে যন্ত্রণা। বার বার বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। রাত ১১টার পর চিকিৎসক আসেন। কিছু করার নেই বলে জানান। অন্য এক চিকিৎসকের কাছে রেফার করে দেন তিনি। অভিযোগ, দ্বিতীয় চিকিৎসক বলেন, কিছু করার নেই। চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এরপর ১৪ তারিখে কেপিসি থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ঝুনু দত্তকে।
রোগীর পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ঝুনু দত্তকে এরপর নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমলজিতে। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে। প্রাণ বাঁচাতে পুরো চোখটাই উপড়ে তুলে ফেলে দিতে হবে। রাজারহাটের এক বেসরকারি চোখের হাসপাতালে এরপর ১৭ জানুয়ারি অপারেশন করে ঝুনু দত্তের বাম চোখ সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। সংক্রমণের হাত থেকে রোগীর প্রাণ বাঁচাতেই ৬৫ বছরের ঝুনু দত্তের চোখ তুলে ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না বলে জানান চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন, বাড়ির কাছে পোস্টিংয়ের সুবিধা পাবেন কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারাও, স্পষ্ট ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
আরও পড়ুন, চারতলা বাড়ির সমান উঁচু সরস্বতী! ৪১ ফিটের প্রতিমা গড়ে রেকর্ড গড়ল বসিরহাটের কাঁকড়া
ছানি অপারেশন করতে গিয়ে চোখ তুলে ফেলে দেওয়ার মতো পরিণতির জন্য চিকিৎসকের গাফিলতিকেই দায়ী করেছে ঝুনু দত্তের পরিবার। এই ঘটনায় কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পার্থপ্রতিম মণ্ডলের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা দায়ের করেছে রোগীর পরিজনেরা। অভিযোগ পৌঁছেছে স্বাস্থ্য ভবন ও রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও।