Duare Ration: স্বস্তিতে রাজ্য, দুয়ারে রেশন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় সুপ্রিম কোর্টের
ক্ষমতায় ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যজুড়ে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। কিন্তু সেই রেশন পৌঁছে দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে রেশন ডিলারদের। এনিয়ে মামলা ওঠে হাইকোর্টে
সুতপা সেন: খাদ্য সুরক্ষা আইনে রাজ্য সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের কোনও বৈধতা নেই। গত ২৮ সেপ্টেম্বর এমনটাই বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে অনেকটাই স্বস্তি পেল রাজ্য সরকার। হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফলে আপাতত দুয়ারে রেশন প্রকল্প চালাতে আর কোনও বাধা রইল না।
আরও পড়ুন-খাদ্য সুরক্ষা আইনে বৈধতা নেই, হাইকোর্টে জোর ধাক্কা মমতার দুয়ারে রেশন প্রকল্প
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার পর নবান্ন থেকে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয় প্রতিটি জেলাকে। অর্থাত্ বাড়ি বাড়ি যেভাবে রেশন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছিল সেই ব্যবস্থাই বলবত থাকল। এদিক থেকে দেখতে গেলে এতে একপ্রকার জয় হল রাজ্য সরকারের।
সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সুপ্রিম কোর্ট যেহেতু রায় দিয়েছে তাই এনিয়ে কিছু বলার নেই। কিন্তু বিষয়টি হচ্ছে যে কারণে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়েছিল তাকে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। আমাদের এখানে রেশন দোকানগুলির যে পরিকাঠামো তাতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই। তাই আমার মনে হয় রায়দান রায়দানের জায়গায় থাকবে কিন্তু ভবিষ্যতে এনিয়ে জটিলতা হবে।
বিধানসভা নির্বাচনের পর ক্ষমতায় ফিরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর প্রতিশ্রুতি মতো রাজ্যজুড়ে বাড়ি বাড়ি রেশন পৌঁছে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে দেন। কিন্তু সেই রেশন পৌঁছে দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস ওঠে রেশন ডিলারদের। এনিয়ে মামলা ওঠে হাইকোর্টে। কিন্তু সেই মামলা খারিজ হয়ে যায়। মামলা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। সেখান থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় খাদ্য সুরক্ষা আইনে এই প্রকল্পের কোনও বৈধতা নেই। বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ওই রায় দেন।
এদিক, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার। কারণ রাজ্য সরকারের ওই জনপ্রিয় প্রকল্পকে চালু রাখতে নবান্নর সামনে আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। গত ২০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে এনিয়ে স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করে রাজ্য সরকার।