সোনাগাছিতে পুজো নিয়ে আকচাআকচি চলছেই, তবুও আশাবাদী দুর্বার
কলকাতা: "হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে, সুতরাং এবার পুজো করা থেকে আর কেউই আমাদের আটকাতে পারবে না", আদালত থেকে দুর্গা পুজো করার অনুমতি আদায় করার পর এই প্রতিক্রিয়াই জানিয়েছেন দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির সচিব কজল বোস। আদালতের নির্দেশ মতো কর্পোরেশন, লোকাল থানা (বটতলা পুলিস স্টেশন), দমকল বিভাগ, ডিসি নর্থ এবং লাল বাজার, এই পাঁচ সরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে আলোচনা করেই সোনাগাছিতে পুজো করার সমাধান সূত্র বার করার চেষ্টা চালাচ্ছে দুর্বার। ৩ তারিখের আলোচনা থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানাতে হবে হাইকোর্টকে। ৯ তারিখে শুনানি। সেদিনই আলোচনার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাইকোর্টকে জানানো হবে বলেই জানাচ্ছেন দুর্বার সচিব কাজল বোস।
অবিনাশ কবিরাজ ও মসজিদ বাড়ি স্ট্রীটের সংযোগ স্থলে দুর্বারের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনেই পুজো হোক, এটাই একমাত্র দাবি ছিল ছিল তাদের। সোনাগাছিতে প্রথমবার সেখানেই পুজো হয়। পরের বারও ওই স্থানেই পুজোর আয়োজন করেছিল দুর্বার। গণ্ডগোল বাঁধে তৃতীয়বার যখন দুর্বার ওই একই স্থানে পুজো করার জন্য তোরজোড় শুরু করে। ২০১৫ সাল। সেবারই প্রথম পুলিসের তরফে আপত্তি জানানো হয়। রাস্তার ওপর পুজো করাতে যানজট তৈরি হয়, ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়তে হয়। পুলিসি আপত্তিতে সেবার যৌনপল্লীতেই একটা মন্দিরে পুজো করতে কার্যত বাধ্য হয় দুর্বার। ২০১৬ সালে মসজিদ বাড়ি স্ট্রীটে পুজো করার অনুমতি আদায় করতে গেলে সেবারও রাজি হয়নি প্রশাসন। এবার তারা এই ইস্যুতে হাইকোর্টে আবেদন করে। সবটা শোনার পর, আদালত প্রসাশনকে দুর্বারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করতে বলে। সেই মতই আলোচনায় বসে দুর্বার এবং কর্পোরেশন সহ লোকাল থানা (বটতলা পুলিস স্টেশন), দমকল বিভাগ, ডিসি নর্থ এবং লাল বাজারের কর্তারা। আরও পড়ুন- 'মা তাঁর সন্তানকে পাঠালেন বেশ্যাপল্লিতে', গণেশকে লাড্ডু খাওয়াতে হুড়োহুড়ি সোনাগাছিতে
দুর্বার মহিলা সমন্বয় কমিটির তরফ থেকে বারবারই বলা হচ্ছে, 'আমরা তো নিয়মের বাইরে গিয়ে পুজো করছি না। ওখানে তো বিরাট করে কালী পুজো করা হয়। আমাদের পুজোতে আপত্তি কথায়'? অন্যদিকে প্রশাসন তাদের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের সমস্যাতেই অনড়। এখন দেখার এই ইস্যুতে আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়! আরও পড়ুন- 'সোনাগাছিতে সম্প্রীতির উৎসব', রাখী পরাবেন যৌনকর্মীরা