বিশ বাঁও জলে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প
শেয়ার হস্তান্তরে বিলম্বের কারণে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প। সেপ্টেম্বর- অক্টোবরের মধ্যে দুবার চিঠি দিয়েও রেলের কাছ থেকে কোনও উত্তর পায়নি রাজ্য সরকার। শুরু হয়নি হস্তান্তর প্রক্রিয়াও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরে আসায় আরও অনিশ্চিত প্রকল্পের ভবিষ্যত। প্রকল্পটি শেষ করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন নতুন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। যদিও রাজ্য কেন তাদের হাতে থাকা শেয়ার হস্তান্তর করছে না তানিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
শেয়ার হস্তান্তরে বিলম্বের কারণে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প। সেপ্টেম্বর- অক্টোবরের মধ্যে দুবার চিঠি দিয়েও রেলের কাছ থেকে কোনও উত্তর পায়নি রাজ্য সরকার। শুরু হয়নি হস্তান্তর প্রক্রিয়াও। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সরে আসায় আরও অনিশ্চিত প্রকল্পের ভবিষ্যত। প্রকল্পটি শেষ করার ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন নতুন রেল প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী। যদিও রাজ্য কেন তাদের হাতে থাকা শেয়ার হস্তান্তর করছে না তানিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ দ্রুত শেষ করতেই রেলের উপর প্রকল্পের দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী থাকার সময়ই তিনি চেয়েছিলেন, দমদম-টালিগঞ্জ রুটের মেট্রোর মতই সল্টলেক-হাওড়ার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোরও দায়িত্ব নিক রেল। মূলত তাঁর ইচ্ছাতেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর দায়িত্ব পাবে রেল। শুরুতে এই প্রকল্পের দায়িত্ব ছিল রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের হাতে। দুই দফতরের হাতে শেয়ারের পরিমাণ ছিল ৫০-৫০। রেলের হাতে মেট্রোর দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও নিজেদের শেয়ার পুরোপুরি ছাড়তে রাজি হয়নি কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। ঠিক হয় রাজ্যের ৫০ শতাংশ শেয়ার পুরোটাই যাবে রেলের হাতে। কিন্তু নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের ২৬ শতাংশ শেয়ার পাবে রেল। বাকি ২৪ শতাংশ থেকে যাবে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের হাতেই। শেয়ার হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। ফলে মুখ থুবড়ে পড়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প। দুহাজার চোদ্দর প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে মাটির উপরের স্টেশন গুলিতে অর্থাৎ সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে ইএম বাইপাস পর্যন্ত ট্রেন চলার কথা ছিল। ককিন্তু যা অবস্থা তাতে ২০১৬ সালেও ট্রেন চলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
কলকাতা মেট্রো রেলওয়ে কর্পোরেশনের (কেএমআরসিএল) ম্যানেজিং ডিরেক্টর বিপি গোপালিকা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে প্রাক্তন মুখ্যসচিব সমর ঘোষ এবং অক্টোবর মাসে বর্তমান মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিলেও এখনও কোনও উত্তর আসেনি। ফলে শুরু হয়েনি শেযার হস্তান্তরের প্রক্রিয়াও। প্রকল্পের কাজে বিলম্ব হওয়ায় খরচও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। রেলের হাতে দায়িত্ব না দিলে এতদিনে প্রকল্পের কাজ অনেকটাই এগিয়ে যেত বলে মনে করছেন নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের আধিকারিকরা। রাজ্য থেকে রেলের নতুন প্রতিমন্ত্রী অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন, রাজ্যের স্বার্থে বিষয়টির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তিনি সচেষ্ট হবেন। তবে রাজ্যের হাতে থাকা পঞ্চাশ শতাংশ শেয়ার এখনও কেন হস্তান্তর হয়নি তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।