বস্ত্রমন্ত্রীকে ৪ ঘণ্টা জেরা করেও মিলল না সূত্র, কারখানায় হানা দেবে ইডি
ঠিক কত টাকায় সুদীপ্ত সেনকে সিমেন্ট কারখানা বিক্রি করেছিলেন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়? নগদে কি কোনও লেনদেন হয়েছিল? সেই টাকা কি হাতিয়েছেন কোনও মধ্যস্থতাকারী? বস্ত্রমন্ত্রীকে ইডি আধিকারিকদের প্রায় চার ঘণ্টা জেরাতেও কাটেনি ধোঁয়াশা। এবার সূত্র খুঁজতে বাঁকুড়ার কারখানাতেই হানা দেবেন তদন্তকারীরা।
সোমবার অপর্ণা সেনের জেরার সময়ই আইনজীবীদের নিয়ে ইডির দফতরে হাজির হন বস্ত্রমন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়। জেরার সময় সুদীপ্ত সেনের দাবি ছিল বস্ত্রমন্ত্রীর সিমেন্ট কারখানা কিনতে তাঁর খরচ হয়েছিল ১০ কোটি টাকা। অথচ সোমবার মন্ত্রী দাবি করেন, কারখানা বিক্রি হয়েছিল ২ কোটি ৮১ লক্ষ টাকায়।
দু হাজার পাঁচ সালে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে গড়ে ওঠে ল্যান্ডমার্ক সিমেন্ট কারখানা। দুহাজার সাতে উত্পাদন শুরু হয় মালিকানা ছিল শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায় এবং তাঁর পরিবারের কয়েকজনের হাতে দুহাজার নয় সালে মালিকানা হস্তান্তর করা হয় সুদীপ্ত সেনকে।
মন্ত্রী শ্যামাপদ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ব্যাঙ্ক ঋণ মেটানোর পর অংশীদার হিসেবে মাত্র আট লক্ষ টাকা পেয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে সুদীপ্ত সেনের দাবিকে যদি সত্যি হিসেবে ধরে নেওয়া যায়, তবে বাকি সাত কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছিল নগদে। তদন্তকারীদের সন্দেহ সেই টাকা আত্মসাত্ করেছে কোনও মধ্যস্থতাকারী । আপাতাত সেই টাকা আর ওই ব্যক্তির হদিশ পেতেই মরিয়া তদন্তকারীরা।