দুই কিশোরীর মরণঝাঁপ নিয়ে রহস্য ক্রমশ দানা বাঁধছে
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইএম বাইপাসের একটি বহুতলের নীচ থেকে দুই কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহের জট ক্রমশ জমা বাঁধছে। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইএম বাইপাসের একটি বহুতলের নীচ থেকে দুই কিশোরীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় সন্দেহের জট ক্রমশ জমা বাঁধছে। যদিও প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, এটা আত্মহত্যার ঘটনা। কিন্তু কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, স্কুল থেকে দেরিতে ফেরার জন্য অতুলবাবু তাঁর মেয়ে ও বান্ধবীকে বকাবকি করেছিলেন। কিন্তু, এই সামান্য কারণে দুই কিশোরীর আত্মহত্যার যুক্তি যথেষ্ট জোরালো হচ্ছে না।
সাবিবাকে তাঁর বাবা বকতেই পারেন। সাবিবা তাতে মানসিক অবসাদে ভুগতেই পারেন। কিন্তু, নেহা তাঁর সঙ্গী হবেন কেন। এমন কিছু ঘটনা ঘটেনি যার জন্য দুজন কিশোরি এত দ্রুত, মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন। ছাদ থেকে উদ্ধার হয়েছে ঘড়ি এবং জুতো। আত্মহত্যার আগে ঘড়ি খুলে রেখে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।
দুজনের শরীরেই বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। উঁচু থেকে পড়ার কারণে এই আঘাত লাগতে পারে বলে অনুমান। কিন্তু এখনও তা পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যায় না। পুলিস প্রাথমিকভাবে এই ঘটনাকে আত্মহত্যা বললেও, এই প্রশ্নগুলির উত্তর খোঁজার চেষ্টা চলছে। নেহার পরিবারের লোকেরাও বলছেন, সাবিবার সঙ্গে তার পরিচয় খুব বেশিদিনের নয়। সাবিবার বাড়িতে নেহা আগে কখনও যায়নি বলেও তার পরিবারের লোকেদের দাবি।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট, এই ঘটনায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিতে পারে এই ময়না তদন্তের রিপোর্ট। আর সেই উত্তরগুলি পেলেই দুই কিশোরির মৃত্যুর কিনারা করা সম্ভব। সিসিটিভির ফুটেজ থেকে পুলিস জানতে পারে, এদিন বিকেল ৫ টা ৩৫ নাগাদ বহুতলে ঢোকেন ওই দুই ছাত্রী। বহুতলেরও ছাদ থকে তাঁদের চটি ও ঘড়ি উদ্ধার করে পুলিস। ফলত পুলিসের অনুমান, ছাদ থকেই ঝাঁপ দিয়েছেন ওই দুজন।