Exclusive: 'দেখলাম, হঠাৎ করে একজন ঝাঁপ দিল!' প্রত্যক্ষদর্শীর হাড়হিম বয়ান...
সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে? জি ২৪ ঘণ্টাকে শিউরে ওঠার মতো অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন প্রত্যক্ষদর্শী হাসান গায়েন।
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ে? হস্টেলের ছাদ থেকে কী করে পড়ে গেল স্বপ্নদীপ? জি ২৪ ঘণ্টাকে শিউরে ওঠার মতো অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন প্রত্যক্ষদর্শী হাসান গায়েন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র তিনি।
আরও পড়ুন: JU Student Death: যাদবপুরে পড়তে এসে মৃত্যু স্বপ্নদীপের, Ragging আটকাতে কড়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর মৃত্যুতে তোলপাড় চলছে। তদন্তে উঠে আসছে একে পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! সূত্রের খবর, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মৃত পড়ুয়ার বাবাকে ফোন করেন মুখ্যমন্ত্রী। বেশ কয়েক মিনিট কথা হয় দু'জনের। মুখ্য়মন্ত্রী আশ্বাস দেন, 'দ্রুত তদন্ত করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না'।
এদিকে সেদিন হস্টেল ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার পর রক্তাক্ত স্বপ্নদীপকে প্রথম দেখেছিলেন হাসান গায়েন। জি ২৪ ঘণ্টাকে তিনি জানালেন, 'আমি বি ব্লকে থাকি। ডিনারের পর হাঁটাহাটি করছিলাম ওই জায়গাটাই, পরিবারের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন দেখলাম, একটি শব্দ শোনা যাচ্ছে। অফিসের ২ নম্বর রুমে। জিজ্ঞাসা করলাম। বলল, জিবি হচ্ছে। জিবিতে সাধারণত আওয়াজ হয়। কারণ, পলিটিক্স নিয়ে তর্কাতর্কি হয়. স্পোটর্স নিয়ে'।
তারপর? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ওই ছাত্রের কথায়, 'ফোন করতে করতে আবার কিছুটা গেলাম। দেখি, আওয়াজটা আরও বাড়ছে। কিছুটা যাওয়ার পর, ১০-১৫-২০ পা গিয়েছি, পিছনে দিকে তাকালাম। হঠাৎ করে একটি ছেলে ঝাঁপ দিল, যেভাবে মানুষ পুকুর বা সুইমিং পুলে ঝাঁপ দেয়'। তাঁর দাবি, 'ব্যালকনি থামটা বেশ উচু, বুক পর্যন্ত। থার্ড ফ্লোর মানে বেশ উঁচু। কেউ চাইলে সহজে নিচে ঝাঁপ দিতে পারবে না'।
ঠিক কীভাবে স্বপ্নদীপ নিচে পড়ে গিয়েছিল, সে বিষয়ে অবশ্য কিছু জানাতে পারেননি হাসান। তিনি বলেন, 'পাঁচিলে দাঁড়িয়ে পড়তে কিন্তু দেখিনি। ধর, কোনও একটা জায়গা ধরে, তারপর ডান পা তুলবে, বাঁ পা তুলবে, এভাবে পড়তে দেখেনি। আমি নীচ থেকে দেখছি তো, আমি মাথা ঘুরিয়েছি, দেখি শব্দটা আরও জোরে আসছে। মাথাটা নিচের দিকে ছিল। পুরো নগ্ন অবস্থায় ছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি যাই, জামা খুলে রক্ত বন্ধ করার ব্যবস্থা করি। কোনও কথা বলার সুযোগ পাইনি'।
আরও পড়ুন: Sector V: মেট্রোর কাজে ৬ মাসের জন্য বন্ধ রাস্তা, শনির রাত থেকেই সেক্টর ফাইভ-এর রোড ডাইভারশন!