প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে সেদিন রাতে হাজরা রোডে দুর্ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য

শনিবার গভীর রাতে হাজরা রোডে ঠিক কী হয়েছিল? দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর চাঞ্চল্যকর বয়ান। তাঁদের গাড়ির ধাক্কায় স্কুটার আরোহীর মৃত্যুর পর থেকেই ফেরার বরুণ মাহেশ্বরী এবং তাঁর বান্ধবী রেবেকা।

Updated By: Sep 20, 2016, 06:14 PM IST
প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে সেদিন রাতে হাজরা রোডে দুর্ঘটনার চাঞ্চল্যকর তথ্য

ওয়েব ডেস্ক : শনিবার গভীর রাতে হাজরা রোডে ঠিক কী হয়েছিল? দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীর চাঞ্চল্যকর বয়ান। তাঁদের গাড়ির ধাক্কায় স্কুটার আরোহীর মৃত্যুর পর থেকেই ফেরার বরুণ মাহেশ্বরী এবং তাঁর বান্ধবী রেবেকা।

অভ্যস্ত পার্টি লাইফ। বেপরোয়া গতির উদ্দাম জীবন। মধ্যরাতে শহর শাসন। শনিবার রাতে পার্টি সেরে বান্ধবী রেবেকাকে নিয়ে মার্সিডিজে ফিরছিলেন বরুণ মাহেশ্বরী। তখনই হাজরা রোডে দুর্ঘটনা। তাঁদের গাড়ির ধাক্কায় নিহত অভিজিত্‍ পাণ্ডে। দুর্ঘটনার আগে বন্ধু সমীর প্রসাদের সঙ্গেই শেষবার অভিজিতদের কথা হয়। কী হল তারপর?

তদন্তে নেমে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে পুলিস জানতে পেরেছে, শনিবার রাতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন বরুণ মাহেশ্বরী। হঠাত্‍ স্টিয়ারিংয়ে বসার জন্য বায়না ধরেন তাঁর গার্লফ্রেন্ড রেবেকা। কেড়ে নেন চাবি। চালকের আসনে বসেই বেপরোয়া গতিতে গাড়ি ছোটান রেবেকা। মার্সিডিজের ধাক্কায় ছিটকে পড়েন স্কুটার আরোহী অভিজিত ও তাঁর দুই বন্ধু। ভুল হয়ে গেছে বুঝতে পেরেই পালানোর চেষ্টা করেন দু-জনে। এয়ার ব্যাগ খুলতে গিয়ে গাড়ির স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়। মহারাষ্ট্র নিবাসের কাছে গাড়ি ফেলে রেখেই দৌড়ে পালান বরুণ-রেবেকা।

তদন্তে নেমে বরুণ ও রেবেকার বাড়ি যায় পুলিস। যদিও, তাঁদের টিকির দেখাও মেলেনি। বরুণের বাবা সুদর্শন মাহেশ্বরী শহরের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। পঁয়তাল্লিশ নম্বর গড়চা রোডে তাঁর প্রাসাদোপম বাড়ি। গাড়িশালে বিলাসবহুল গাড়ির মেলা। প্রায় সব গাড়ির নাম্বার প্লেটের শেষে ডাবল ওয়ান। লাকি নাম্বারের জন্য দেদার খরচের তোয়াক্কা করেননি মাহেশ্বরীরা। যদিও, শেষরক্ষা হল না। নাম্বার প্লেটে সৌভাগ্যের সংখ্যা থাকলেও সেই গাড়িই বয়ে আনল দুর্ভাগ্য। আরও পড়ুন, পণ্ডিতিয়াকাণ্ডে CCTV ফুটেজে নয়া তথ্য

.