আমি কি চুড়ি পরে আছি? ফেস অফে বিজেপিকে পাঁচন দাওয়াইয়ের হুঁশিয়ারি অনুব্রতর
লোকসভায় তৃণমূল ৪২-এ ৪২ পাবে বলে দাবি করলেন অনুব্রত মণ্ডল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপির লোক নেই। ওদের বাজনা বেশি। এভাবেই গেরুয়া শিবিরকে ফুত্কারে উড়িয়ে দিলেন বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। জি ২৪ ঘণ্টার অনুষ্ঠানে এসে তিনি দাবি করলেন, আসন্ন লোকসভায় ৪২টি আসনই পাবে তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূলের ডাকাবুকো নেতা। বীরভূমের জেলা সভাপতির পরিচিতি রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিতর্কেই শিরোনামে আসেন অনুব্রত মণ্ডল। জি ২৪ ঘণ্টার ফেস অফ অনুষ্ঠানে এডিটর অনির্বাণ চৌধুরীর প্রশ্নে অনুব্রত মণ্ডল বলেন,''বিতর্ক মিডিয়া তৈরি করেছে। সিপিএমের অত্যাচার আমার মতো কেউ দেখেনি। চ্যালেঞ্জ করেছিলাম। সিপিএমকে সরাবই। একটাই টার্গেট নিয়েছিলাম, সিপিএমকে সরাতে হবে'। তবে অনেক সময় মুখ ফসকেও বিতর্ক বাধিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর মন্তব্য,''২০১৩ সালে পুলিসের গাড়ি বোম মেরে উড়িয়ে দেওয়ার কথা মাথা গরমে বলে ফেলেছিলাম। বাড়ির লোক এনিয়ে আমায় বলে। তবে নিরাপত্তারক্ষীর কাছে যদি শোনে মমতাদি বকেছে, ওরা খুশি হয়''।
পশ্চিমবঙ্গে ৪২-এ ৪২ পাবে বলে দাবি করলেন অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু লোকসভা ভোটে ২২টি আসনে জেতার টার্গেট করেছে বিজেপি। আপনার জেলার আসনও রয়েছে? তৃণমূলের জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি,''আমি কি চুড়ি পরে আছি নাকি? আমার দু'হাতে চুড়ি আছে? ওরা ভাবছে ২৯৪টা বুথ দখল করবে। শুনুন, ২০১৬ সালে বীরভূম জেলায় খুন হয়নি। মানুষ মরেনি। অন্য রাজ্য থেকে এসে ঝামেলা করার কথা কেউ ভেবে থাকলে ছেড়ে দেব না। ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করলে সে মূর্খের স্বর্গের বাস করছে। যত লোক নিয়ে আসবে আমি তৈরি। আমাকে ওসব ভয়, গুলি দেখিয়ে লাভ হবে না''।
তা এবার চড়াম চড়াম না পাঁচন চলবে? অনুব্রতর জবাব,''লোকসভায় পাঁচনটাই বেটার''। তা আপনি তো ফুটবল খেলায় গোলকিপার ছিলেন? 'হ্যাঁ, তবে এখন গোল দিই', সাফ জানালেন অনুব্রত। কিন্তু যদি বিপক্ষ সেই সুযোগে গোল দিয়ে দেয়? আরে তখন নীচে নেমে আসব, মুচকি হাসি অনুব্রতর মুখে। অনুব্রতর পছন্দ অ্যাকশনধর্মী হিন্দি সিনেমা। আর পছন্দের ডায়লগ, 'শোলে ছবির অ্যায় সাম্বা কিতনা আদমি থেয়? হেসে উঠলেন অনুব্রত মণ্ডল।