রাজ্যজুড়ে বাড়বাড়ন্ত ফেসবুকে মৃত্যু ফাঁদ!
সোশ্যাল মিডিয়া। আদৌ বন্ধুত্ব-সম্পর্কের হাতছানি? নাকি প্রতারণার জাল? মৃত্যুর ফাঁদ? যেভাবে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ, তাতে এ প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড়। বন্ধুত্বের আড়ালেই লুকিয়ে ঘাতকের দল।
ওয়েব ডেস্ক : সোশ্যাল মিডিয়া। আদৌ বন্ধুত্ব-সম্পর্কের হাতছানি? নাকি প্রতারণার জাল? মৃত্যুর ফাঁদ? যেভাবে বেড়ে চলেছে সাইবার অপরাধ, তাতে এ প্রশ্ন এখন সবচেয়ে বড়। বন্ধুত্বের আড়ালেই লুকিয়ে ঘাতকের দল।
ভোপালে আকাঙ্ক্ষার নৃশংস খুনের পথও শুরু হয় ফেসবুক-প্রেমপর্ব থেকেই। গত ছাব্বিশে জানুয়ারি কলকাতার এক তরুণীর দেহ উদ্ধার হয় ব্যান্ডেলে, জলার ধারে। এক্ষেত্রেও ফেসবুক বন্ধুদের দিকে আঙুল। সম্প্রতি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে, ফেসবুকে একটি ছবি দেওয়া ঘিরে লজ্জা-বদনামের ভয়ে আত্মঘাতী হয় ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রী। জীবন শুরুর আগেই শেষ।
গতমাসেই স্কুল শিক্ষকের লাগাতার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয় ক্লাস টুয়েলভের ছাত্র সম্প্রীত। আত্মহত্যার আগে ফেসবুকে সে স্ট্যাটাস দিয়ে যায়, গুডবাই। অথচ মনের যন্ত্রণা মুখে কাউকে বলতে পারলে হয়ত এ পরিণতি হত না।
প্রেমিকের সঙ্গে মনোমালিন্য ফেসবুকে পোস্ট করে, কিছুদিন আগে আত্মঘাতী হয় বহরমপুরের এক কিশোরীও। গতরাতে বেহালায় রবীন্দ্রনগরে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার পিছনেও ফেসবুক প্রেম ও তাতে জটিতলার ছায়া। এছাড়া তো রয়েইছে অজস্র আর্থিক প্রতারণা। রাজ্যজুড়ে বাড়বাড়ন্ত।
আরও পড়ুন, ফের ফেসবুকে জাল! রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ